ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ রিপাবলিক টিভি’র সম্পাদকের গ্রেফতারের ঘটনায় গোটা ভারত প্রতিবাদ সাব্যস্ত করছে। সোশ্যাল মিডিয়াও
সরগরম তাঁর মুক্তির দাবিতে।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলা শহরে বিজেপির লোকেরা অর্ণব গোস্বামীর পক্ষে মিছিল
করেছে। তাদের দাবি, অর্ণব গোস্বামীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিজেপি যুব মোর্চা
কর্মীরা হাতে ব্যানার ও মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেছেন। স্লোগান দিয়ে অর্ণবের মুক্তির
দাবীতে মিছিল করে দল।
উল্লেখযোগ্য যে বুধবার সকালে মহারাষ্ট্র পুলিশ রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে
তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। অর্ণব গোস্বামীকে নিজের বাড়ি থেকে ইন্টিরিওর ডিজাইনারের
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬ টায় তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায়
ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে অর্ণব গোস্বামীকে।
বিজেপি এবং এর বিভিন্ন সংগঠন মহারাষ্ট্র সরকারের এই গ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা
জানাচ্ছে।
বিজেপির রাজ্য নেতা টিঙ্কু রায় বলেন যে, তাঁরা সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে অন্যায়ভাবে
গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পাপিয়া দত্ত ঘটনার তুমুল
প্রতিবাদ বলেন, কংগ্রেস সরকার এবং তার সহযোগীরা আজ ভারতের ইতিহাসে একটি কালো দিন তৈরি
করেছে। ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী বিরোধী কণ্ঠস্বর থামাতে
কীভাবে দেশে জরুরি অবস্থা চালু করেছিলেন, ঠিক একইভাবে মহারাষ্ট্র সরকারও আজ একই কাজ
করেছে।
এদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন। মন্ত্রী সনোয়াল জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে
গ্রেফতার করার কর্মকাণ্ডের তীব্র ভাষায় ধিক্কার দিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্ণব গোস্বামীকে
মুক্ত করে দিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর করা আক্রমণ বন্ধ করা
উচিৎ।
এদিকে, মন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার টুইট করে বলেন, মুম্বাই পুলিশ রাজনৈতিক
এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অর্ণব গোস্বামীর কন্ঠরোধ করে গ্রেফতার করেছে। মন্ত্রী শর্মা
এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকার টুইট করে
ঘটনার প্রতিবাদ করেন।
দুই মাস আগে ত্রিপুরার আমবাসায়, সাংবাদিক পরাশর বিশ্বাসকে নির্দয়ভাবে মারধর করা
হয়েছিল। সাংবাদিকের উপর হামলার বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চা বা অন্য কোনও গেরুয়া ব্রিগেডকে
কোনও প্রতিবাদ-মিছিল করতে দেখা যায়নি। তারা এই হামলার নিন্দা করেনি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে রাজ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এমনকি
মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।

0 মন্তব্য