ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ফের মহিলার বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা
ত্রিপুরাকে লজ্জানত করেছে। জানা গেছে, কবিবুর রহমানের স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে মারাত্মকভাবে
মারধর করা হয়েছে এবং গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ফেলে রাখা হয়। তবে ধর্মনগর মহিলা পুলিশ
এক মাস পর তাঁর আঘাত থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে পরে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেয়।
বিস্তারিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা স্বপ্না বেগম ১৫ বছর
আগে ধর্মনগর নোয়াপাড়ার কবিবুর রেহমানকে বিয়ে করেন। উল্লেখ করা জরুরি যে কবিবুর রেহমান
বেকার এবং একজন পাক্কা জুয়াড়ি। স্বপ্নার বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার
জন্য স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নির্যাতন করত। বাবার কাছ থেকে টাকা এনেছিলেন তিনি,
কিন্তু এরপর যখন টাকা আনতে অস্বীকার করেন, ফের স্বপ্নাদেবীর ওপর নির্যাতন শুরু হয়।
তিনি সহ্য করে যাচ্ছিলেন সবটাই। অত্যাচার বাড়তে বাড়তে চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়।
গত মঙ্গলবার, স্বপ্নার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
কোনওভাবে তিনি নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হন এবং নিজেকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। স্বপ্নাদেবী
তাঁরই পরিচিত বাবুল মিয়াকে ফোন করে সব কথা তাঁকে জানালেন। তিনি স্বপ্নাকে ঘরে থাকার
পরামর্শ দেন এবং তিনি আরও জানান যে পরদিন সকালে তিনি সমাজকর্মী মিহির লাল দাসের সাথে
তার বাড়ি আসবেন। কথামতো পরদিন সকালে তাঁর স্বপ্নাদেবীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ভয়ানক আহত
অবস্থায় দেখতে পান।
স্বপ্নার শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা এতটাই পুরুষতান্ত্রিক এবং নির্মম যে, সমাজকর্মী মিহির
লাল দাসকে পর্যন্ত আক্রমণ করার চেষ্টা করে। স্বপ্নাকে অবিলম্বে ধর্মমনগর জেলা হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর গুরুতর অবস্থার কথা বর্ণনা করেছেন। পরে যখন স্বপ্না
ধর্মমনগর মহিলা থানায় যান অভিযোগের জন্যে তখন তাঁরা পরামর্শ দেন যে আঘাত থেকে সুস্থ
হয়ে উঠলে একমাস পর তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন।
তবে স্বপ্না শ্বশুরবাড়িতে আর কোনভাবেই ফিরতে রাজি নন! কারণ সেখানে গেলেই শ্বশুরবাড়ির
পুরুষতান্ত্রিক ভাবনা লালন করা লোকেরা তাঁকে মেরে ফেলবে। স্থানীয়রাও অভিযোগ করেছে
যে, স্বপ্নার স্বামী জুয়াড়ি এবং বেকার এবং তাঁকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে।

0 মন্তব্যসমূহ