ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দুটি জঘন্য ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে পুরো ত্রিপুরাকে। একদিকে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাঁর স্বামী এবং অন্যদিকে ফের আরো এক যুবতী ধর্ষণের শিকার ।
প্রথম ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, রাজ্যের ধলাই জেলার সালেমায় এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে খুন করেছে। সোমবার মঙ্গলচারী দেববর্মার (৩৭) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয় নিজের বাড়ির শোবার ঘরের বিছানা থেকে। মৃতা দেববর্মার সন্তানদের অভিমত, তাঁর মায়ের রক্তাক্ত দেহটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় বিছানায় দেখতে পায় এবং তখনো শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শীঘ্রই মঙ্গলচারীকে ধলাই জেলার কুলাই চিকিৎসালয়ে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় যদিও চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় মানুষ এই হত্যাকাণ্ডে মঙ্গলচারী দেববর্মার স্বামী বিদ্যাচরণ দেববর্মা জড়িত রয়েছেন এমনটাই সন্দেহ করছেন। রাতে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতা দেববর্মার স্বামী বিদ্যাচরণকে গ্রেফতার করে জেরা অব্যাহত রেখেছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ যে, স্বামী অত্যধিক মদ্যপান করার জন্যে প্রত্যেক রাতে মঙ্গলচারী দেববর্মা এবং বিদ্যাচরণ দেববর্মার মধ্যে ঝগড়া হতো। লোকজনের সন্দেহ, রবিবার রাতেও ঝগড়ার সূত্রপাত হওয়ার পর স্বামী বিদ্যাচরণ দেববর্মা স্ত্রীকে তীক্ষ্ণ অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।
এদিকে, রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে উনকোটি জেলার পখিরবাদা গ্রামে। গ্রামের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যে ধর্ষিতা যুবতী স্থানীয় কৈলাশহর থানায় ঘটনা সন্দর্ভে এজাহার দাখিল করেছেন।
নির্যাতিতা তরুণী বলেছেন, সোমবার বিকেলে পরিচিত আব্দুল মজিদ নামক এক যুবকের সঙ্গে ভুক্তভোগী যুবতী আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ই নির্জনতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মজিদ! পিড়িতা যুবতী অভিযোগ করেন যে, ধর্ষণ করার পর আব্দুল গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায়। নক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েই অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ পালিয়েছে। পুলিশ তার সন্ধানে নেমেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ত্রিপুরায় টানা ধর্ষণ, বধূ হত্যা, যৌতুকের জন্যে নির্যাতন, ড্রাগস প্রভৃতি যত পাশবিক কাজগুলি ঘটে চলেছে একের পর এক! গোটা দেশ যখন ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে, তখন আনাচা কানাচে প্রতিদিন রাজ্যগুলিতে এমন ধিক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। পুরুষতান্ত্রিকতা লোপ করার জন্যে সরকারের আরো কঠোর এবং সজাগ হওয়ার প্রয়োজন আছে।

0 মন্তব্যসমূহ