ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ফের নির্মম ধর্ষণের শিকার হলেন ত্রিপুরার
এক উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা। সেই মহিলা ছমাস গর্ভবতী বলে জানা গেছে। গত কাল রাতে অন্তঃসত্ত্বা
ওই মহিলার ধর্ষণের জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে।
ধর্ষিতার বাড়ি ধলাই জেলার গাঁদাচেড়ার অন্তর্গত টুইচাকমা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের
গ্রামে। গতকাল রাতে মহিলা একাই বাড়িতে ছিলেন। সেই সুযোগে প্রতিবেশী দয়া রঞ্জন চাকমা
তাঁর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
গত শনিবার, ১৭ই অক্টোবর সকালে রাইসিবাড়ি থানায় ধর্ষিতা মহিলার স্বামী প্রতিবেশী
দয়া রঞ্জন চাকমার নামে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই রাইসিবাড়ি থানার পুলিশ দয়া
রঞ্জন চাকমাকে গ্রেফতার করে। ধৃত দয়া রঞ্জনকে সেদিনই আদালতে তোলা হয়। অন্তঃসত্ত্বা
ধর্ষিতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়।
যত দিন যাচ্ছে ত্রিপুরাতে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তিনদিন আগেই অবৈধ
সম্পর্ক রাখার অভিযোগে এক মহিলাকে চরম অপদস্থ করা হয়। সকলের সামনে লাইট পোস্টে বেঁধে,
চুল কেটে চলে নির্মম শারীরিক নিগ্রহ। এই ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও ত্রিপুরা পুলিশ
এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী
গোস্বামী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। হতাশাও প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহেও দক্ষিণ
ত্রিপুরাতে আর একটি নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে। দক্ষিণ ত্রিপুরার এক মহিলার শ্লীলতাহানি
করা হয়। এই ঘটনার যাতে সামনে না আসে, ধামা চাপা দেওয়ার জন্য গ্রামের নেতারা ওই মহিলাকে
টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে বলেন।
0 মন্তব্যসমূহ