
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ত্রিপুরায় টানা ধর্ষণ-খুনের ঘটনাগুলো প্রকাশ্যে আসছে। যে সময় উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে কাঁপছে দেশ, ঠিক একই সময়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরাতেও ঘটে চলেছে একই ঘটনা।
বুধবার ত্রিপুরার উনকোটি জেলায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়। কোনওরকমে মহিলা বেঁচে গিয়েছেন পাষণ্ডের হাত থেকে। ঘটনায় কৈলাশহর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত আট দিনে রাজ্যে নারীর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর সোনামুড়ার চান্দুলে এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ করা হয়। দক্ষিণ ত্রিপুরার কলসী এলাকায় ২ অক্টোবর রাতে সিপিএম কর্মীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনা এত সোজাভাবে ঘটেনি। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন যে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার ফের আরেক মহিলাকে ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়। ধর্ষণ, খুনের পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরায় যৌতুকের জন্যে বধূ হত্যারও বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে।
ত্রিপুরা এখন হয়ে উঠেছে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের স্বর্গ। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অবশ্য এ বিষয়ে কোন মতামত পাওয়া যায়নি।
বুধবার কৈলাসহর গৌরনগর ব্লকের অন্তর্গত দেওরাছড়া এডিসি গ্রাম এলাকার জুম মাঠে কাজ করতে যান মহিলা। অভিযোগ অনুযায়ী, দুপুরের দিকে ধেপাছড়া এলাকার আব্দুল রাজ্জাক নামক এক পাষণ্ড তার এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে জুম মাঠে গিয়ে ওই মহিলাকে আক্রমণ করেন। দুজনই ওই মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মহিলা সম্মান বাঁচাতে তাদের সাথে তর্ক শুরু করেন এবং এ সময় তিনি চিৎকার করেন। চিৎকার কানে যেতেই পাশের মাঠের একজন প্রবীণ ব্যক্তি মহিলাকে বাঁচাতে সেখানে উপস্থিত হন। প্রবীণকে দেখেও রাজ্জাক ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়নি! এই কাপুরুষ লোকগুলি পাল্টা মহিলা এবং জ্যেষ্ঠ ব্যক্তির উপর হামলা করে। তাঁদের মারধর এবং হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের চিৎকার শুনে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আবদুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি পুরো এলাকায় আতংক সৃষ্টি করেছে।
ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা করা ঘটনায় জড়িত আব্দুর রাজ্জাককে শনাক্ত করা গেলেও তার অন্য সহযোগীকে শনাক্ত করা যায়নি। ভুক্তভোগীর পক্ষে কৈলাশহর মহিলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ এ ঘটনায় আবদুর রাজ্জাক এবং অন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

0 মন্তব্য