
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ত্রিপুরা হাইকোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্যের অবস্থার বিষয়ে নিজের তরফেই (Suo Moto)
একটি জনস্বার্থ মামলা নথিভুক্ত করল। আজ মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি এ এ কুরেশি
ও বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রর বেঞ্চে। অবশ্য সামনা সামনি নয়, শুনানি চলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের
মাধ্যমে।
অ্যাডভোকেট জেনারেল
অরুণকান্তি ভৌমিক জানান, হাইকোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য
ও প্রতিবেদন জানতে চেয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকার আদালতে বিশদ প্রতিবেদন জমা দেবে।
এক সপ্তাহ পরে আবার আদালত পিআইএল শুনানি গ্রহণ করবে।
এখনও অবধি কোভিডে
ত্রিপুরায় ১৭২ জন মারা গিয়েছেন। এই জীবাণুতে আক্রান্ত ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃত্যুর
হার এক শতাংশ এবং পজিটিভিটির হার ৫.৮৮ শতাংশ। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে একাধিক
অভিযোগ উঠেছে। রোগী এবং রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল তথা গোটা প্রক্রিয়ায় প্রচুর
অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন। অভিযোগ উঠেছে যে অক্সিজেনের অভাবেই সর্বাধিক কোভিড রোগীরা
মারা গিয়েছেন। ডাক্তাররা কোভিড ইউনিটে যাচ্ছেন না ইত্যাদি।
শেষ পর্যন্ত, রাজ্য
জুড়ে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে অব্যবস্থা বিষয়ে সংবাদপত্রে তোলা বিভিন্ন অভিযোগের
ভিত্তিতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ত্রিপুরার স্বাস্থ্যের অব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বপ্রণোদিত
জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। মামলায় রাজ্য সরকারকে আসামীপক্ষ করা হয়েছে। ত্রিপুরা
হাইকোর্ট করোনার ভাইরাসের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

0 মন্তব্যসমূহ