
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ঢাকে যেই পড়ল কাঠি জমজমাটি আসরে! এবার আর নেই সেই পরিস্থিতি! করোনা ভাইরাসের হানায়
মা দুর্গা সহায় আজ অসহায়। কেমন হতে চলেছে, এ বছরের দুর্গোৎসব?
ত্রিপুরা সরকার
আসন্ন দুর্গা পূজার জন্য ২৯ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে। যার মধ্যে চার নির্দেশিকা রাজ্যবাসীর
জন্যে থাকছে।
অন্যদিকে, পুজো
আয়োজকদের জন্য বাকি ২৫ দফা নির্দেশিকা। সরকারের জারি করা এই নির্দেশিকা মান্য করে
পালন করতে হবে ছোটখাটোভাবে মা দুর্গার পূজা।
এর আগে ত্রিপুরার
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব পূজো আয়োজকদের সঙ্গে রবীন্দ্র ভবনে আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে
কীভাবে কী প্রস্তুতি নেয়া যাবে এই মহামারিকালে সে সব নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন। ক্লাবগুলোর
মতামত সেখানে নেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল রাজ্য সরকার আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্যে
নির্দেশিকা জারি করবে।
উল্লেখযোগ্য যে,
পশ্চিমবঙ্গের পরে বৃহত্তরভাবে ত্রিপুরায় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। কত আনন্দ, কত
হুল্লোড়। এবার সবেতেই চাপে পড়েছে মানুষ! শুক্রবার জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে
উল্লেখ করা হয়েছে, মারণ করোনার প্রাদুর্ভাব অক্টোবরেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও এইমস সঞ্চালক রণদীপ গুলেরিয়াও জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতের কোন কোন স্থানে শুরু
হয়ে গেছে করোনার সেকেণ্ড ওয়েভ! ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যগুলোর উদ্বিগ্নতা আরো বেড়ে
গিয়েছে।
এদিকে, অক্টোবরের
মাঝামাঝি সময়েই দুর্গাপূজা পড়ে গেছে। এ অবস্থায় করোনার যেন অধিক সংক্রমণ না ঘটে, সে
দিকে বিবেচনা করে পুজো আয়োজকদের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
চারটি সাধারণ নির্দেশিকায়
বলা হয়েছে যে, পূজা করার আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে। পূজা আয়োজকরা চাঁদা সংগ্রহ
করার জন্যে কারও বাড়িতে যেতে পারবেন না। অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের টাকা সংগ্রহ করতে
হবে। এছাড়াও, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত একটি পরিস্থিতিতে ট্যাক্স নেয়া যাবে না।
অন্যদিকে, দুর্গা
প্রতিমার উচ্চতা ১০ ফুটের বেশি হতে পারবে না। পূজা প্যান্ডেলগুলোর সামনে ৫ থেকে ১০
জনের বেশি লোক জমায়েত পারবেন না। প্রবেশ এবং প্রস্থান দরজা সরু রাখা যাবে না, তেমন
অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্যান্ডেলগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন দুর্গা মা’কে দূর থেকে দাঁড়িয়ে দর্শন করা যায়।
সকল প্রকার, সাজসজ্জা,
মেলার আয়োজন, প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
কোনও ধরনের আলোকসজ্জা
হবে না। যাতে অধিক লোকের ভিড় না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
পূজা প্যান্ডেল
এবং যে জায়গাগুলোতে দর্শনার্থীরা দাঁড়াবেন, সে স্থানগুলো দিনে তিনবার স্যানিটাইজ
করতে হবে।
প্যান্ডালগুলির
সামনে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা বাঞ্ছনীয়।এছাড়াও আরো একটি দিকে জোর দেয়া
হয়েছে। তা হলো, প্যান্ডালগুলোর সামনে প্রয়োজনে একটি বড় টিভি বা এলইডি স্ক্রিনিংয়ের
ব্যবস্থা করা উচিত যাতে দর্শনার্থীরা দূর থেকে মায়ের মূর্তি দর্শন করতে পারেন।
পুরষ্কার বিতরণ
অনুষ্ঠান করার অনুমতি নেই।
এবং সর্বোপরি রাতের
কারফিউ অব্যাহত থাকছে দুর্গা পুজোর সময়। রাতে দুর্গাপূজার সময় মানুষ চলাফেরা করতে
পারবেন না।
দশমীর দিন বিসর্জনে
৩০ জনের বেশি যেতে পারবেন না।

0 মন্তব্যসমূহ