
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার ত্রিপুরায় মোট ৬৯১
জন কোভিড পজিটিভ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর ফলে, গত চারদিন ধরে প্রতিদিন ত্রিপুরায়
গড়ে ৬০০টি নতুন কেস শনাক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার দৈনিক
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি ছিল। রাজ্যে আগে একদিনে নতুন করোনা
রোগীর সংখ্যা ছয়শো ছাড়িয়ে যায়নি। এর আগে একদিনের সর্বোচ্চ কোভিড পজিটিভের সংখ্যা
ছিল ৫৮৮ জন। তবে শুক্রবারে এটি এক লাফে ৬৯১ হয়ে যায়! ত্রিপুরায় কোভিড সংক্রমণের অবশ্য
প্রায় প্রতিদিনই নতুন নজির গড়ছে।
শুক্রবার রাতে সাত
জনের মৃত্যুর খবরও প্রকাশ্যে আসে। রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪
হাজার ৫০৭ জন। মৃত্যুহারে উত্তর-পূর্বের কোনও রাজ্য ত্রিপুরার ধারেকাছে নেই।
ত্রিপুরার পুলিশের
দায়িত্বে থাকা ডিজিপি রাজীব সিং এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরাও কোভড পজিটিভ। বিভিন্ন
থানায় প্রচুর পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত। কোভিড পজিটিভের তালিকায় আছেন মাঝারি স্তরের
বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকও। এ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন জোটের সাতজন বিধায়ক সংক্রামিত হয়েছেন।
বিরোধী দলের কোনও বিধায়ক অবশ্য এখনও আক্রান্তের তালিকায় নেই।
এটিজিডিএর (অল ত্রিপুরা
গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন) ডাঃ রাজেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সমান সংখ্যক নার্সও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য অনেক
স্বাস্থ্যকর্মীও করোনায় আক্রান্ত।
এপ্রিলের গোড়ার
দিকে রাজ্যে দুজনের করোনা হয়েছিল। সেই দুই রোগী সুস্থ হওয়ার পরে প্রশাসনের একাংশের
ধারণা হয়েছিল ত্রিপুরা পুরোপুরি করোনাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী আগ বাড়িয়ে
ত্রিপুরাকে করোনামুক্ত বলেও ঘোষণা করে দেন।
তখন যাঁরা বাইরের
রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় ফিরছিলেন, তাঁদের সকলের পরীক্ষা না করিয়ে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে
এক জনের পরীক্ষা করা হচ্ছিল। তার কুফল এখন ভুগতে হচ্ছে। এখন কোভিড হাসপাতালে রোগীর
জায়গার অভাব, আইসিইউতে বিছানার অভাব রয়েছে। অনেক জরুরি পরিষেবা বিকল।
সরকারী চিকিৎসক
সমিতির এটিজিডিএ তিন দিন আগে সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল যে আইসিইউ বেডের ঘাটতি রয়েছে
এবং রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিত্সা পাচ্ছেন না। পরিবারের সদস্যরাও রোগীর খবর পাচ্ছেন না।
ত্রিপুরায় সক্রিয়
রোগীর অনুপাত ৩৯.৬৩ শতাংশ, সুস্থতার হার ৫৯.৪৪ শতাংশ।

0 মন্তব্যসমূহ