
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ অক্সিজেনের চাপ কমে গিয়েছে হাসপাতালে। নজর দিচ্ছে না কেউ। গুরুতর রোগীকে মৃত্যুর
মুখোমুখি রেখে দেওয়া হয়েছে জিবিপি হাসপাতালে- এমন খবর পেয়ে রাত পৌনে দুটো নাগাদ জিবিপি
হাসপাতালে যান প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের
বলেন জিবিপি হাসপাতালে আসা দুইজন চিকিৎসক তাকে ফোন করেছিলেন এবং জিবিপির পাইপ লাইনে
অক্সিজেনের ঘাটতির বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। সুদীপ বর্মণের বিধানসভা কেন্দ্রের
মধ্যে পড়া জিবিপি হাসপাতালে অক্সিজেন প্রবাহ সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে অনেকবার অভিযোগ
জানানো হয়েছিল। সুদীপবাবু রাতুল দে নামে একজন বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে হাসপাতালে
ছুটে যান। রাতুলবাবু জিবিপি হাসপাতালে গিয়ে সমস্যাটির সমাধান করেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে,
ডাক্তাররা তাঁদের উচ্চতর আধিকারিকদের বা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীর
কাছে এই সমস্যার কথা না জানিয়ে কেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে খবর দিলেন? বিশেষত
যাকে বিদ্রোহ করার দায়ে গত বছর মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকি প্রাক্তন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ সাম্প্রতিক এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিভাগের
অব্যবস্থার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন।
শুক্রবার রাতে বিশেষজ্ঞদের
সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পরে সুদীপবাবু শেষ পর্যন্ত সমস্যাটি সমাধান করতে সফল হন
এবং অক্সিজেনের প্রবাহে ভারসাম্য ফেরে। পরে, সুদীপ জানান, পরিস্থিতি এখন ঠিক আছে এবং
অক্সিজেন সরবরাহকারী ডিভাইসগুলির ঠিকমতোই কাজ করছে। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই
তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ফলে একটি জীবন বাঁচানো গিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবারও অক্সিজেনের
অভাবে একজন রোগী এই হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।

0 মন্তব্যসমূহ