
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ অগ্নিদগ্ধ মহিলার চিকিৎসার জন্য এবার পথ অবরোধ করলেন রোগীর আত্মীয়রা। শুধু তাই
নয়, দগ্ধ মহিলাকে নিয়েই ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলার জিবিপি হাসপাতেলের সামনে বিক্ষোভ
দেখায় তারা। সোমবার ৩১শে আগষ্ট, দুপুরে ত্রিপুরার অন্যতম বড় হাসপাতাল জিবিপি-তে মিতা শীল দাস নামক
এক মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, জিবিপি হাসপাতালের ডাক্তারেরা
ওই মহিলার চিকিৎসা করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা
সরকার জিবিপি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল ঘোষণা করেছে। তাই জিবিপি হাসপাতালের ১০ টি
বিভাগ গতকাল রিজিওনাল ক্যান্সার হসপিটাল বিল্ডিং-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে হাসপাতালের
তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জিবিপি-র বেশিরভাগ বিভাগ স্থানান্তরিত হওয়ায়, মিতা শীল দাস-এর
পরিবারের লোকদের তাঁকে রিজিওনাল ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু
অগ্নিদগ্ধ মহিলার আত্মীয়দের অভিযোগ তাঁরা ক্যান্সার বিল্ডিং-এ গিয়ে দীর্ঘসময় এখানে
ওখানে চিকিৎসার জন্য ঘুরলেও কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি।
মিতা শীল দাসের
কাকা হরিপদ শীল জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ তাঁরা হাসপাতালে এদিক-ওদিক ঘুরে চিকিৎসক, নার্সদের
রোগীর চিকিৎসা করতে বললেও কেউ কোনো কথা কানে তোলেননি। এদিকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাদের রোগী
যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে।
অবশেষে কোনো উপায়
না দেখে, রোগীর পরিবারের লোক চিকিৎসার দাবিতে জিবিপি হাসপাতেলর সামনে পথ অবরোধ করেন।
অগ্নিদগ্ধ মিতা দেবীকেও ওই অবস্থায় স্ট্রেচারে করে রাস্তায় নিয়ে আসা হয়। হরিপদ বাবুর
কাছ থেকে জানা যায়, তাঁর বাড়িতে একটি ছোট অনুষ্ঠান চলছিল তখন সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে
আগুন লাগে। অনেকেই কম বেশী আহত হয়েছেন, তবে মিতা দেবী রান্নার দায়িত্বে থাকায় তাঁর
আঘাত সবচেয়ে বেশি।
অগ্নি নির্বাপক
দফতরকে খবর দেওয়া হলেও, তারা দেরিতে আসে বলে অভিযোগ জানান হরিপদ শীল। এদিকে জিবিপি-তেও
রোগীকে নিয়ে এক দেড় ঘণ্টা হাসপাতালের নানান বিভাগে ঘুরতে হয়। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে
থাকেন মিতা দেব শীল। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের সামনে পথ
অবরোধ ছাড়া তাদের হাতে আর কিছু উপায় ছিল না বলেও আক্ষেপ হরিপদবাবুর। এই ঘটনার পর রাজ্যের
বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। রোগীর আত্মীয়দের পথ অবরোধ তুলতে
পুলিশ এবং দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছয়। তাদের উদ্যোগেই অগ্নিদগ্ধ মিতা দেব শীলকে জিবিপি
হাসপাতালে ভরতি করানো হয় এবং তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।

0 মন্তব্যসমূহ