
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ত্রিপুরার মন্ত্রীরা কী নিজেদের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছেন। এক একটি বেনজির মন্তব্যে
এটিই স্পষ্ট হচ্ছে বারংবার!
বৃহস্পতিবার একটি
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলছেন, শূকর মালিকরা
শিক্ষকের চেয়ে বেশি উপার্জন করতে পারেন। নেটিজনেরা এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কথা বলতেও
ছাড়েননি! তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তাহলে সমস্ত প্রতিষ্ঠান তাহলে বন্ধ করা হোক।
শিক্ষামন্ত্রীর
মন্তব্য, “একজন শিক্ষক প্রাথমিকভাবে ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা উপার্জন করতে
পারেন কিন্তু শূকর পালনের মাধ্যমে তারা১৫,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন"।
স্মরণীয় যে, রাজ্যে
৮ হাজারেরও অধিক শিক্ষক এখন ত্রিপুরায় রয়েছেন যারা সরকারী চাকুরির জন্যে দাবি করছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাঁদের শিক্ষকতা পেশা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই চাপে
কয়েকজন শিক্ষক মারাও গেছেন। শিক্ষকতা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে,এর পরিবর্তে অন্য কাজ
দেয়া হোক, এই দাবিতে গতকাল তাঁরা খুমুলুংয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন।
এমন দিশেহারা পরিস্থিতিতে
শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার একটি সরকারি কর্মসূচিতে মোহনপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই
এমন বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি। এর আগেও প্রায়ই উল্টোপাল্টা কথা বলে সমালোচনার কেন্দ্রে
থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এমনই একটি কথা বলেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব
দেব বলেছিলেন, যুবক সমাজের সরকারি চাকরির জন্য নেতাদের পিছনে ঘোরাঘুরি করে। এতে তাদের
মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।এখন থেকে তারা নেতাদের পিছনে সরকারি চাকরির জন্য না ঘোরাঘুরি
করে পানের দোকান খোলেন অথবা বাড়িতে গরু পালন করেন তাহলে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের
খাতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা জমা হবে। তাঁদের আর সরকারি চাকুরি খোঁজার প্রয়োজন নেই।
এই মন্তব্যে সাংঘাতিক
বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়। যিনি বাংলা ভাষাটাও এখনো ভালো করে রপ্ত করতে
পারেননি, তিনিই পরপর বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। গরুর মন্তব্যের আগে মুখ্যমন্ত্রী
বলেছিলেন, মহাভারতের যুগ থেকেই ইন্টারনেট সুবিধা ছিল। সঙ্গে স্যাটেলাইইট সুবিধাও ছিল।
এই সুবিধার জন্য সঞ্জয় ঘরে বসে ধৃতরাষ্ট্রকে হস্তিনাপুরের যুদ্ধের সম্পূর্ণ বর্ণনা
দিয়েছিলেন।
গরু-মহাভারত-পঞ্জাবি
তো আছেই। সঙ্গে আরো একটি বিষয়ও যুক্ত করেছিলেন “ভারত টানা পাঁচ
বছর ধরে মিস ওয়ার্ল্ড এবং মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছে। কিন্তু আমি ১৯৯৭ সালের সিদ্ধান্ত
এখনও বুঝতে পারি না যেখানে ডায়না হেডেন খেতাব জেতেন। আপনাদের কি মনে হয়, তিনি খেতাব
জেতার উপযুক্ত ছিলেন”? ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয় মন্তব্য ঘিরে। এরপর তিনি জানান, ‘সব মেয়েরাই আমার মায়ের মতোই সম্মানীয়’। এবার ত্রিপুরার
শিক্ষামন্ত্রী নিয়ে এলেন শুকরের প্রসঙ্গ!

0 মন্তব্য