
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ গত ১১ সেপ্টেম্বরের জিবি হাসপাতালের কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের অক্সিজেনের প্রেসার কমে যাওয়ার পর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং রাতুল দে -কে ডেকে হাসপাতালে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার রাজ্য ক্রাইম ব্রাঞ্চ তলব করতে ডাকলেন দুই চিকিৎসককে। এতে চিকিৎসক মহলে দেখা দিয়েছে চিকিৎসক তীব্র ক্ষোভ।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বরে রাতে জিবি হাসপাতালের কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের রাত পৌনে একটার নাগাদ অক্সিজেনের প্রেসার কমে যায়। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ কনাদ চৌধুরি এবং ডাঃ রাজেশ চৌধুরি তাৎক্ষণিক ফোন করে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার রাতুল দে'কে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার রাতুল দে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় প্রায় ৪৫ মিনিট পর হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেনের প্রেসার স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি পরবর্তী সময়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য সরকারের পরিষেবার চোখ কপালে ঠেকে। রাজ্য সরকার পরবর্তী সময় সেই রাতে অভাবনীয় ঘটনার ভুল প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগে। গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি। আর তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের দেখানো পথে ময়দানে নেমে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার রাতুল দে -কে সিআইডি অফিসের নিয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চ তলব করে সম্প্রতি।
অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ কনাদ চৌধুরি এবং ডাঃ রাজেশ চৌধুরিকে তলব করতে ডাকে। এবং দুই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়।আর এতে রাজ্যের চিকিৎসক মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। কারণ বর্তমান অতিমারি সময়ে গোটা বিশ্ব এবং গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্য যখন প্রথম সারির যুদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে চলেছে, তখন ত্রিপুরা রাজ্যের চিকিৎসকদের নিয়ে শুরু হয়েছে ঘৃণ্য রাজনীতি। হয়তো সেদিন যদি যথাযথ সময়ের মধ্যে রাতুলকে চিকিৎসকরা না ডাকতেন বা রাতুল সাড়া না দিতেন তাহলে হয়তো জিবি হাসপাতালের কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে অক্সিজেনের অভাবে গণহারে মৃত্যু হতো কোভিড আক্রান্ত রোগীদের। আর সেদিনের ঘটনাকে ভুল প্রমাণ করতে কোমড় কেচে মাঠে নেমেছে রাজ্য প্রশাসন।

1 মন্তব্য
বাংলা বানান কিছু ভুল আছে, ঠিক করে লিখুন। লেখার পর একবার পরে দখবেন পাবলিশ করার আগে।
উত্তর দিনমুছুন