About Me

header ads

বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার কারণে ফের মৃত্যু এক শিশুর!


ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ আবারও হাসপাতালের গাফিলতিতে মৃত্যু হল মাত্র এক বছরে একটি শিশুর। শিশুর পিতার অভিযোগ অ্যাম্বুলেন্স সময় মত না পাওয়ার কারনে নাকি রেফার করার পরও প্রায় ঘন্টাখানেক সময় ধরে আগরতলায় আনা সম্ভব হচ্ছিল না। ঘটনা মেলাঘর হাসপাতালে।
জানাগেছে, সোমামুড়ার কালাপানিয়া এলাকার জামাল হোসেনের ১ বছরের শিশু জুবির আলি বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন বমি করতে থাকেন। তাই বৃহস্পতিবার সকালেই শিশুটিকে নিয়ে তার পরিবার সোনামুড়া হাসপাতালে চলে আসেন। কিন্তু সোনামুড়া হাসপাতালের কর্তবরত চিকিৎসকরা নাকি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রুগীর সন্ধান মিলেছে তার জন্য মেলাঘর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অসহায় পিতা এই শিশুটিকে নিয়ে আসে মেলাঘর হাসপাতালে। এবার নাকি মেলাঘর হাসপাতালের কর্তবরত চিকিৎসক বলছে শিশুর চিকিৎসা
মেলাঘর হাসপাতালে চলবেনা। চিকিৎসকদের এই তালবাহানায় ধীরে ধীরে শিশুটির অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। আর নেতা মন্ত্রীরা চিৎকার করে উমা স্টাইলে ভাসন রাখছেন চিকিৎসা পরিষেবায় নাকি উন্নয়ন ঘটেছে। আর এই হল চিকিৎসা বিপ্লবের চিত্র। মেলাঘর থেকে শিশুটিকে রেফার করে দেন আগরতলায় আইজিএম হাসপাতালে। রেফারের পর আরেক কান্ড ! শিশুটির পিতার অভিযোগ চিকিৎসকরা শিশুটিকে রেফার করে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আগরতলায় আনার মত নেই অ্যাম্বুলেন্স। যে একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল সেটি নাকি অন্য একটি রুগী গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে আসে বলে চিকিৎসকরাই জানান। তাহলে আর অ্যাম্বুলেন্স কোথায়? প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে নাকি শিশুকে নিয়ে হাসপাতালেই বসে থাকেন পরিবার। তারপর অ্যাম্বুলেন্স আসার পর শিশুটিকে আগরতলার আইজিএম হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে রউনা হয়। কিন্তু বিশালগড়ের কাছাকাছি এসে শিশুটি চোখ বন্ধ করে ফেলে। মুখে লাগানো অক্সিজেন। তাই শিশুটিকে তড়িঘড়ি বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে ঢুকানো হয়। কিন্তু বিশালগড় হাসপাতালের কর্তবরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কান্নায় ভেঙে পরে পরিবার। কারন এক বছরের আদরের শিশুটিকে হারিয়েছে তার পিতামাতা। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের এসডিএমও জে-এম দাস শিশুর পিতাকে পরামর্শ দেন নিয়ম অনুযায়ী শিশুকে ময়নাতদন্ত করেই পরিবারের হাতে তুলে দেবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ