
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল ধর্মনগরে বিভিন্ন খাবারের দোকান, যেমন হোটেল, রেস্টুরেন্ট,বেকারি ইত্যাদিতে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন খাবার সরবরাহ করা হয়। বাইরে ঝাঁ-চকচকে দোকান হলে কী হবে? ভেতরের অবস্থা শোচনীয়! রান্নাঘরের বাসি-পচা খাবারগুলো এভাবেই লোভী ব্যবসায়ীরা খদ্দেরের মাথায় বারি দিয়ে বিক্রি করার ধান্দা করে।
মঙ্গলবার অবশেষে একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মনগরের মহকুমা শাসক, কমলেশ ধর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সূত্রধর ডেপুটি কালেক্টর মানিক ভট্টাচার্য খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক এবং পুরপরিষদের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান চালানো হয় শহরের সেন্ট্রাল রোড স্থিত সুনামধন্য তনুশ্রী হোটেল এবং ধর্মনগর অফিসটিলা স্থিত উত্তর জেলার সবচেয়ে বড় বেকারি "ত্রিপুরা বেকারি" তে।
প্রথম অভিযানেই তনুশ্রী হোটেলের ভেতরে ঢুকে আধিকারিকের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। হোটেলের রান্নাঘর এবং রেফ্রিজারেটরের অবস্থা দেখে অনুমান করা গেছে বিগত কয়েক মাস ধরে হোটেলে সাফাই কাজ করা হয় নি। রান্না ঘরের রেফ্রিজারেটর থেকে উদ্ধার হওয়া খাদ্যগুলো বহুদিনের পুরনো-বাসি খাবার।তা থেকে স্পষ্ট হোটেল মালিক খদ্দেরদের এই পচে যাওয়া খাবারগুলিই খাওয়াচ্ছিলেন এতদিন ধরে। এই দৃশ্য পরিদর্শন করার পরই মহকুমা শাসক হোটেল সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে হোটেল সিল করে দেন।
তনুশ্রী হোটেলের পর অভিযান চালানো হয় ত্রিপুরার বেকারিতে। ত্রিপুরা বেকারির ফেক্টরি থেকে শুরু করে তাদের দোকান পরিদর্শন করেন মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে আধিকারিকগণ। ফেক্টরিতে কিছু আবর্জনা নজরে আসলেও এখন থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যে হুশিয়ারি দেন আধিকারিকরা।
মহকুমা শাসক জানান, এবার ত্রিপুরা বেকারিকে সিল করা হয়নি, অভিযান কালে হুঁশিয়ারি দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন শুধরে যাওয়ার জন্যে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আগামি দিনেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজকের এই অভিযান দেখে ধর্মনগরের খাদ্য সামগ্রীর দোকান গুলির মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ