
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ একের পর এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার জিবি কোভিড কেয়ার সেন্টারে ছুটে যান
জিবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। এজিএমসির
কনফারেন্স হলে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও আধিকারিক এবং জিবির স্বাস্থ্য কর্মী, চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
করোনা চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। একই সঙ্গে অন লাইনে চিকিৎসা ব্যবস্থা
খতিয়ে দেখেন। তারপর তিনি সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন
তিনি জিবি কোভিড কেয়ার সেন্টারে যাবেন।
সেই মোতাবেক মঙ্গলবারও
তিনি জিবি কোভিড কেয়ার সেন্টারে যান। জিবি হাসপাতালে গিয়ে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক কথা
বলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবার পরিজনদের সাথে। তাদের সমস্যা ও অভিযোগের কথা
নিজের কানে শুনেন। এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পড়ে তিনি সংবাদ প্রতিনিধিদের
জানান একটা বিপরীত পরিস্থিতিতে সব জায়গায় কাজ হচ্ছে। তুলনামূলক ভাবে অনেক ভালো কাজ
হচ্ছে। রোগীর পরিবার পরিজনদের সাথে কথা হয়েছে। সোমবার যে সকল সমস্যা গুলি সামনে এসেছে
তার তুলনায় মঙ্গলবার ১০ শতাংশ সমস্যা রয়েছে। সহসাই সকল সমস্যার সমাধান করা হবে।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী
বিভিন্ন নার্সিং হোমের মালিক সহ টিএমসি ও আইএলএসের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেছেন। এখন
থেকে যারা নিজেদের টাকা খরচ করে চিকিৎসা করতে চায়, তারা আইএলএস হাঁসপাতাল থেকে চিকিৎসা
পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবে। হাপানিয়া অক্সিজেন ব্যাডের সংখ্যা ৫০ থেকে বৃদ্ধি করে ১০০
করা হয়েছে। উদয়পুরের চন্দ্রপুরে ২০ টি অক্সিজেন ব্যাডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান
জিবি হাসপাতালের কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে রোগীর সাথে পরিবারের লোক থাকতে পারছে না
এটাই বড় সমস্যা। সকলে চায় তাদের রোগীর খোঁজ খবর রাখতে। তাই এই সমস্যা দ্রুত কি ভাবে
সমাধান করা যায় সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। যে সকল জায়গায় ঘাটতি রয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বরের
মধ্যে সকল ঘাটতি পূরণ করা হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ব্যাডে যেন খাবার পৌঁছে দেওয়া
যায়, তার জন্য ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।

0 মন্তব্যসমূহ