
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে ত্রিপুরা
সরকার। প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে দুই কোভিড পজিটিভ ভাই এবং বোন তাদের ঠিকানা সম্পর্কে
মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে আইসোলেশন সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলেনি।
মোহনপুরের মহকুমা প্রশাসন লেফুঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, কোভিড
পজিটিভ এক ব্যক্তি স্কুটার চালিয়ে তার মা ও পিসিকে নিয়ে বামুটিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে আসেন। এর পর পরিবারের দুই সদস্যের কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান
তিনি। সন্দেহ হওয়ায় ডাক্তাররা তিনজনেরই পরীক্ষা করান। দেখা যায় তিনজনই পজিটিভ।
জিজ্ঞাসাবাদ শুরু
হয়। জানা যায়, তিন দিন আগে তিনি ও তাঁর বোন জ্বর নিয়ে গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে কোভিড ১৯-এর পরীক্ষা করিয়েছিলেন এবং তখনই কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তার
পরেও কেন তিনি হোম আইসোলেশনে না থেকে বাইরে ঘুরছেন- তা জানতে চান ডাক্তাররা।
তখনই জানা যায়,
গান্ধীগ্রামে তাঁরা বলেছিলেন, তাঁদের ঠিকানা কাঁঠালতলী এলাকায়। কথা দেন, তাঁরা হোম
আইসোলেশনে থাকবেন ও সব নিয়ম মেনে চলবেন। তাঁদের কথায় বিশ্বাস করে ডাক্তার স্বাস্থ্যবিধি
ও ওষুধ বুঝিয়ে বাড়ি যেতে বলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরাও আর ফলো-আপ করেননি। যদিও নিয়ম, হোম
আইসোলেশনে থাকা কোভিড পজিটিভ রোগীরা নিয়ম মানছেন কী না- তার প্রতি স্বাস্থ্যকর্মীরা
নজর রাখবেন, স্বাস্থ্যের প্রতিদিনের খবরও দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু কিছুই মানা হয়নি। ওই
ভাইবোনের বাড়ি আসলে বামুটিয়ায়। গত কাল সকালে ওই ব্যক্তি বামুটিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য
কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাক্তারকে ফোন করে বলেন যে তাঁদের পরিবারের দুই সদস্যের পরীক্ষা
করা উচিত।
চিকিৎসকের নজর ঘুরিয়ে
দিতে তিনি বলেন, যে তাঁর এলাকায় দু'জন পজিটিভ রোগী আছেন তবে তিনি তাঁদের ব্যাপারে
বিশদ কিছুই জানেন না। তখনই সবার দৃষ্টি সরে যায়। ফল দাঁড়ায়, করোনা পজিটিভ রোগী অন্যদের
সাথে হাসপাতালে এসে আবার নিজের পরীক্ষা করালেন। ওই ব্যক্তির যুক্তি ছিল, তিনি নিজে
না নিয়ে গেলে মা ও পিসির পরীক্ষা করানোর লোক ছিল না। তা হলে চিকিৎসাও হত না। প্রশাসন
লেফঙ্গা থানায় করোনার তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। জানা গিয়েছে যে করোনায়
আক্রান্ত বোন বাড়িতে একা রয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে তাঁর মা ও পিসির সঙ্গে গত কালই
হেজামারা কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য