
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ স্বজনপোষণ হোক বা বলিউডের মাদকচক্র অথবা সরকারি আইন-কানুন, আজকাল সব বিষয়েই টুইটারে নিজের মতামত দেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তা করতে গিয়ে এ বার আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন তিনি। কৃষি বিলের প্রতিবাদে পথে নামা কৃষকদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে অভিহিত করায় অপরাধ মামলা দায়ের হল তাঁর বিরুদ্ধে।
কর্নাটকের টুমকুর জেলায় বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অপরাধ আইনের ৪৪ (মর্যাদাহানি), ১০৮ (অপরাধমূলক কাজে মদত দেওয়া), ১৫৩ (দাঙ্গায় উস্কানি), ১৫৩এ (ভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতায় ইন্ধন জোগানো) এবং ৫০৪ (সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত হয় এমন অবমাননাকর মন্তব্য করা) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত সপ্তাহে সংসদে ধ্বনি ভোটে বিতর্কিত কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘিরে ধোঁয়াশা থাকায় বিলটির বিরুদ্ধে পথে নামেন কৃষকরা। তাঁদের আশ্বস্ত করে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, নয়া বিল আইনে পরিণত হলেও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু থাকবে।
प्रधानमंत्री जी कोई सो रहा हो उसे जगाया जा सकता है, जिसे ग़लतफ़हमी हो उसे समझाया जा सकता है मगर जो सोने की ऐक्टिंग करे, नासमझने की ऐक्टिंग करे उसे आपके समझाने से क्या फ़र्क़ पड़ेगा? ये वही आतंकी हैं CAA से एक भी इंसान की सिटिज़ेन्शिप नहीं गयी मगर इन्होंने ख़ून की नदियाँ बहा दी. https://t.co/ni4G6pMmc3
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 20, 2020
जैसे श्री कृष्ण की नारायणी सेना थी, वैसे ही पप्पु की भी अपनी एक चंपू सेना है जो की सिर्फ़ अफ़वाहों के दम पे लड़ना जानती है, यह है मेरा अरिजिनल ट्वीट अगर कोई यह सिद्ध करदे की मैंने किसानों को आतंकी कहा, मैं माफ़ी माँगकर हमेशा केलिए ट्वीटर छोड़ दूँगी 🙏 https://t.co/26LwVH1QD9
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 21, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সেই টুইটটিকে রিটুইট করে গত ২০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করে বসেন কঙ্গনা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীজি, কেউ ঘুমালে তাঁকে জাগানো যায়। কেউ না বুঝলে তাঁক বোঝানো যায়। কিন্তু যিনি ঘুমানোর অভিনয় করেন, বুঝেও না বোঝার ভান করেন, আপনার বোঝানোয় তাঁর কী যায় আসে? এঁরা সেই সন্ত্রাসবাদী, সিএএ-র আওতায় কারও নাগরিকত্ব না গেলেও, এঁরা রক্তবন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন।’’
কঙ্গনার এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে সময় লাগেনি। কঙ্গনা দরিদ্র কৃষকদের চরম অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে চারিদিকে। কঙ্গনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত বলেও দাবি ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু তিনি কখনও কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলেননি বলে পাল্টা দাবি করেন কঙ্গনা। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে টুইটার ছেড়ে দেবেন বলেও ঘোষণাও করেন তিনি।

0 মন্তব্যসমূহ