
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে সাংবাদিক নিগ্রহের মতো ধিক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। রাজ্যে এক সাংবাদিকের বাড়িতে
ঢুকে গতরাতে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। নিগৃহীত সাংবাদিকের নাম পরাশর বিশ্বাস! তিনি
ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসার বাসিন্দা! পরাশর রাজধানী আগরতলা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা
দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন!
শনিবার রাতে একদল
দুর্বৃত্ত তাঁর আমবাসার বাড়িতে ঢুকে লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরেছে।ঘটনাটি
ঘটেছে মধ্যরাত ১২.৩০ মিনিট নাগাদ! আহত অবস্থায় সাংবাদিক পরাশরকে ধলাই জেলা হাসপাতালে
প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, উক্ত দুর্বৃত্তের দলটি ক্ষমতাসীন বিজেপির সমর্থক।
অবাঞ্ছিত একটি ঘটনা!
উল্লেখযোগ্য যে,
সাংবাদিক পরাশর বিশ্বাস গতকাল তাঁর ফেসবুক লাইভে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার
দেবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন মন্ত্রীরই কথার পরিপ্রেক্ষিতে! সাংবাদিক পরাশর ফেসবুক
ফেসবুক লাইভে তিনি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ
করেন, ভবিষ্যতে মিডিয়ার বিরুদ্ধে কোন ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য যেন তিনি না করেন। যা
মন্ত্রী করেছেন সাবরুমে!
উল্লেখযোগ্য যে,
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সংবাদ মাধ্যমকে একহাত নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
বিপ্লব কুমার দেব শুক্রবার বিকেলে বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বা SEZ-এর ভিত্তি প্রস্তর
স্থাপন করেন। এদিন তিনি বলেন, "কিছু সংবাদপত্র কোভিড -১৯ (Covid-19) মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট
সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।
আমি তাদেরও ক্ষমা করব না"।
পরাশর বিশ্বাসকে
উক্ত ফেসবুক লাইভে করা মন্তব্যের মূল্য চুকাতে হয়েছে ১২ ঘন্টারও কম সময়ে! তাঁর উপর
হামলা হয়! তিনি Syandan Patrika-র হয়ে কাজ করতেন! যারা সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়েছে,
তাঁদের সংখ্যা মোটামুটি ৮-১০ জন ছিল!
স্থানীয় সূত্রে
খবর, উন্মত্ত যুবকদের মারধরে সাংবাদিকের কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তাঁদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, পরাশরের তীব্র চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসার আগেই
দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এবং ফায়ার পার্সোনালের সাহায্যে পরাশরকে হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। তবে উন্নত চিকিৎসার
জন্যে তাঁকে রাজধানীর জিবি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখনীয় যে, পরাশর
গত ১০ দিন ধরে আমবাসার একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। শনিবার
সন্ধ্যায় তাঁকে কেন্দ্র থেকে ছাড়া হয়েছিল এবং বাড়িতে আসার পরই দুর্বৃত্তের আক্রমণের
শিকার হয়েছেন তিনি!
উল্লেখযোগ্য যে,
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব হুমকি দিয়েছিলেন, কিছু মিডিয়া হাউস এবং স্থানীয় সংবাদপত্র
আছে যারা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তাঁদের কাউকে ক্ষমা করা হবে
না।

0 মন্তব্যসমূহ