
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার জিবিপি(GBP) হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পরিকাঠামো
সবটাই ভেঙে পড়েছে। সম্প্রতী বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়! যে দৃশ্যগুলো
দেখে আতকে উঠতে বাধ্য প্রাণ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে জিবিপি হাসপাতালের করুণ-শোচনীয় অবস্থা!
রোগীর মরদেহ যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। কোন যত্ন নেই।
একটি ছবি এবং ভিডিওতে
দেখা গেছে যে, মৃতদেহগুলো জিবিপি হাসপাতালের করিডোরের উপরে পড়ে রয়েছে। মৃতদেহগুলো
জাফরান রঙের প্যাকেটে ভরা ছিল। একটি লাশ মেঝেতে পড়ে আছে! না হাসপাতালের কেউ নেই। লাশ
সরানোর কেউ নেই। এমন বেশ কয়েকটি চিত্র এবং ভিডিও সোশ্যাল সাইটে আপলোড হয়েছে। যা হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
রোগীদের যত্ন নেই।
হাসপাতালে দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্যে জিবি হাসপাতাল তার সুনাম হারাতে চলেছে। বিজেপি
আমলে ত্রিপুরাবাসী অনুভব করছে বৈশ্বিক মহামারির (COVID-19) ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিপ্লব
দেব রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে এই রোগীদের
শোচনীয় অবস্থা দেখে।
জিবি হাসপাতালের
ফ্লোরে পড়ে রয়েছে কোভিড -১৯ রোগীর মৃতদেহগুলো। যার সামনেই রয়েছে করোনা রোগীদের ওয়ার্ড!
এমন দৃশ্যে কেঁপে উঠছেন মানুষ! যারা চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁরাও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার
ওপর থেকে মনোবল হারিয়ে ফেলছেন! ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষিত ত্রিপুরার মর্যাদাপূর্ণ
জিবি হাসপাতালের অবস্থা বৈশ্বিক মহামারিতে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
এখন আর করোনা নয়,
মানুষের কাছে আতংকের কারণ হয়ে উঠেছে জিবি হাসপাতাল। রোগী-রোগীর আত্মীয়দের কাছে এই হাসপাতাল
এতটাই ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে যে, এখন অনেক রোগী যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে এবং মৃত্যু ভয়ে
বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
তথা বিরোধী নেতা মানিক সরকার আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জিবিপিতে এখন চিকিৎসকরাই
যেতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে।
তিনি আরো বলেন,
আমি চিকিৎসকদের দোষ দেবো না, কারণ তাঁরাও মানুষ! তাঁদেরও জীবনের মায়া আছে! হাসপাতালে
অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে। এই হাসপাতাল আমাদের গর্বের ছিল। এখন এটি পরিণত হয়েছে আশংকায়।
মানুষ আশা হারাচ্ছে এই হাসপাতালের প্রতি!
উল্লেখযোগ্য যে,
দু'দিন আগে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনও একই অভিযোগ করেছিলেন। মানিক সরকার জিবিপি
হাসপাতাল এবং তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সিপিআইএম
বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন কিন্তু এর একটিও পূরণ হয়নি। পূরণ
করার চেষ্টা হয়নি।

0 মন্তব্যসমূহ