
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ উত্তর পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় ক্রমাগত করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফের আরো
একজন বিধায়কের দেহে মারণ করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
উক্ত করোনা পজিটিভ
বিধায়কের নাম বৃষকেতু দেববর্মা। তিনি সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের (আইপিএফটি)। আজ সোমবার
তাঁর শরীরে শনাক্ত হয়েছে করোনা। বর্তমান তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। বিধায়ক বৃষকেতু
দেববর্মা জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা প্রত্যেকেই ভালো এবং নিরাপদে আছেন।
তাঁদের সকলের কোভিড-১৯ ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। বৃষকেতু দেববর্মা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার
পর এ নিয়ে মোট ৫ জন বিধায়কের দেহে মারণ করোনার উপস্থিতি পাওয়া হয়েছে।
এর আগে বিজেপির
রাজ্য সহ-সভাপতি ও বিধায়ক রামপদ জামাতিয়া, আইপিএফটি বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা, বিজেপি
বিধায়ক মিমি মজুমদার এবং বিজেপি বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন।
এঁদের মধ্যে রামপদ
জামাতিয়া এবং ধনঞ্জয় ত্রিপুরা করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমান তাঁরা ভালো
আছেন এবং নিরাপদে আছেন। তবে মিমি মজুমদার এবং আশীষ কুমার সাহা এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায়
রয়েছেন।
রাজ্যে আক্রান্তের
সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাটাও বাড়ছে। এদিকে, সোমবার করোনাক্রান্ত হয়ে ত্রিপুরার
প্রখ্যাত মহিলা আইনজীবী মারা গিয়েছেন। আইনজীবীর নাম পদ্ম দত্তগুপ্ত। গতরাতে তাঁকে অসুস্থ
অবস্থায় রাজধানী আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সোমবার, ৩১ আগস্ট দুপুর ১২.৫৫
মিনিটে জিবি হাসপাতালে তিনি মারা গিয়েছেন। আইনজীবী পদ্ম দত্তগুপ্ত ১৯৭০ সালের ১৮ এপ্রিল
জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং ১৯৯১ সালে পদ্ম
দত্তগুপ্ত ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছিলেন। তিনি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির
সর্বভারতীয় আইনজীবী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। পদ্ম দত্তগুপ্তের অকাল
মৃত্যু ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনে শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছে।
এদিকে আবার, একইদিন
অর্থাৎ সোমবার ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর উপ-কারাগারের ৩ জন কারাবন্দীর দেহে করোনা ভাইরাসের
উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাঁদের সকলকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বর্তমান ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে নোভেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। অসমে
এ পর্যন্ত ১,০৫৭৭৪ জনের শরীরে মারাত্মক ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে
উঠেছেন ৮,৩৯২৭ জন। বর্তমান রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১৫৪৮ জন। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু
সংখ্যা অসমে ২৯৬।

0 মন্তব্যসমূহ