
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ গোটা দেশে যখন আজ থেকে আনলক-৪ শুরু হচ্ছে তখনই ত্রিপুরা বিশেষ করে পশ্চিম ত্রিপুরায়
আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল পরের এক মাসের জন্যে। পশ্চিম ত্রিপুরা ও আগরতলা পুরসভা
এলাকায় যেহেতু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে সেই দিকে তাকিয়েই এই নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার।
সোমবার এক দিনের
মধ্যে ত্রিপুরায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ে ৫০৯ জন। তার মধ্যে ২৫৮ জনই পশ্চিম ত্রিপুরার
বাসিন্দা। এ ছাড়া আছেন উত্তর ত্রিপুরার ২৩ জন, উনকোটির ৫২ জন, ধলাইয়ের ২৭ জন, খোয়াইয়ের
৪৩ জন, সিপাহীজলার ৩০ জন, গোমতী জেলার ৪২ জন ও দক্ষিণ ত্রিপুরার ৩৪ জন।
সোমবার মারা গিয়েছে
১০ জন। যা এখন পর্যন্ত রাজ্যে এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যু। তার মধ্যে ৬ জনই পশ্চিম ত্রিপুরার
বাসিন্দা। এ ছাড়া বাকি চারজন হলেন যথাক্রমে গোমতী, ধলাই, উনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরার।
রাজ্যে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১১৩ জন হয়েছে।
জেলাশাসক নির্দেশ
দিয়েছেন জেলার সব স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
থাকবে। আগরতলা পুরসভা এলাকায় আগে রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন ছিল। পশ্চিম
ত্রিপুরার জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব ঘোষণা করেন, আগরতলা পুরসভা এলাকায় এখন থেকে ৩০
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাত ৯টার বদলে এখন রাত ৮টা থেকে নৈশ কার্ফু জারি হবে বলে জানান।
পশ্চিম ত্রিপুরা
জেলায় যে কোনও রকমের সামাজিক, রাজনৈতিক, ক্রীড়া, বিনোদন, শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক,
ধর্মীয় ও অন্যান্য জমায়েতও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধই থাকছে সিনেমা হল, সুইমিং পুল,
প্রমোদ উদ্যান, সিনেমা হল, জমায়েতস্থল ও প্রেক্ষাগৃহগুলি। আবাঞ্ছিত জমায়েত রুখতে কোনও
কোনও এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় যে হারে
সংক্রমণ বাড়ছে ও বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা- তাতে রাজ্যে ফের পূর্ণ লকডাউনের দাবি নাগরিকদের
মধ্যে জোরদার হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের গাফলতি ও পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থতাকে দায়ী
করা হচ্ছে।

0 মন্তব্যসমূহ