
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ বাবরি মামলায় নাম রয়েছে তিন জনেরই।
তা নিয়ে আদালতে শুনানিও চলছে। তা সত্ত্বেও লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলীমনোহর জোশীকে বাদ
দিয়ে, শুধুমাত্র উমা ভারতীকেই অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস ও ভূমিপুজোয় আমন্ত্রণ
জানানো হয়েছে। তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই টনক নড়ল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্টের।
জানানো হল, মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে অবশ্যই ডাকা হবে আডবাণী-জোশীদের।
আগামী ৫ অগস্ট অযোধ্যায় মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদী। সে জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি
ও সঙ্ঘের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অথচ শনিবার বিকেল পর্যন্ত লালকৃষ্ণ
আডবাণী ও মুরলী মনোহর জোশীর কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছয়নি। সেই নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও
রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা শুরু হতেই এ দিন নড়েচড়ে বসেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কাদের ডাকা হবে বা হবে না, তার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন
রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। অনুষ্ঠানের চার দিন
আগে পর্যন্ত আডবাণী-জোশীকে আমন্ত্রণ জানানো হল না কেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি
তিনি। তবে এ দিন ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হবে আডবাণী এবং
জোশীকে।
তবে বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান নিয়ে বিশেষ সাবধানতা
অবলম্বন করা হচ্ছে। লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী-সহ বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের
একাধিক প্রবীণ নেতা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। তার জন্য
১০ জন শীর্ষস্থানীয় নেতার একটি তালিকাও যোগী সরকার তৈরি করে ফেলেছে বলে জানানো হয়েছে।
১৯৯২-এর বাবরি ধ্বংস-কাণ্ড নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন
উমা ভারতী। তিনি বলেন, ‘‘আদালতের রায় কী হবে, তা নিয়ে মাথাব্যথা
নেই আমার। যদি ফাঁসিতেও ঝোলানো হয়, তা আমার কাছে আশীর্বাদ।’’ অতীতে একাধিক বার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে বলতে
শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী নিজে হাতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, সেটাই সবচেয়ে
বড় কথা। এর পরে এ দিন সকালে তাঁকে মন্দিরের ভূমিপুজো ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে
ডাকা হয়।বাবরি ধ্বংসের সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিংহ। করসেবকদের
বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করায় সেইসময় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তার জেরে
বাবরি ধ্বংসের দিনই ইস্তফা দিতে হয় তাঁকে। তবে বাবরি কাণ্ড নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই
বলে জানিয়েছেন কল্যাণ সিংহও। তিনিও এ দিন সকালেই মন্দির নির্মাণের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ
পান।

0 মন্তব্য