
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ দীর্ঘদিন তাঁবুতে থেকেছেন
ভগবান শ্রীরাম। অবশেষে তাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে বিরাট মন্দির। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনে
এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার পর ভাষণ
দিতে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঞ্চে উঠেই তিনি বলেন, ‘প্রথমেই সবাই আমার সঙ্গে প্রভু রাম ও
মাতা জানকীর নাম করুন। তারপর আমার কথা এগোব। জয় শ্রী রাম।’
প্রধনমন্ত্রী ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতেই তাঁর সঙ্গে আমন্ত্রিতদের
সকলেও বলে ওঠেন ‘জয় শ্রী রাম’। এরপরই নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এই জয়ধ্বনির শব্দ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে
পড়েছে। বিশ্বজু়ড়ে ভারতভক্তদের জন্য এই মুহূর্ত শুভ।’ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর
অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো এদিন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টকে কৃতজ্ঞতা
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এপ্রসঙ্গে এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট
আমাকে এক মহান ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এটা আমার সৌভাগ্য। আমাকে তো এখানে
আসতে হতই। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মতোই রাম মন্দিরের জন্য কয়েক শতাব্দী ধরে অনেকে
আন্দোলন করেছেন। আজ তারই ফল পেয়েছি আমরা।’
এরই পাশাপাশি রাম মন্দির তৈরিতে আন্দোলনকারীদের
প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যাঁদের ত্যাগ ও বলিদানের জন্য আজ রাম
মন্দিরের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে, ১৩০ কোটি দেশবাসীর তরফ থেকে তাঁদের প্রণাম জানাই। ভগবানের
রামের অদ্ভুত শক্তি দেখুন। ইমারত ধ্বংস করে অস্তিত্ব মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু
রাম এখনও আমাদের মনে রয়েছেন। আমাদের সংস্কৃতির আধার। শ্রীরাম ভারতের মর্যাদা, ভারতের
মর্যাদা পুরুষোত্তম।’
শ্রীরাম চন্দ্রের ভাবনা তাঁর কাছে প্রেরণা।
অযোধ্যার এই রাম মন্দির দেশে সমৃদ্ধি আনবে বলে মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাম মন্দির রাষ্ট্রীয় ভাবনার প্রতীক হবে।
আমার আস্থার প্রতীক। ভারতের আধুনিকতার প্রতীক হবে। এই মন্দির আগামী প্রজন্মকে আস্থা,
শ্রদ্ধা ও সংকল্পের প্রেরণা জোগাবে।’
অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার ফলে
এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির আমূল বদল আনবে বলে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী। তিনি
বলেন, ‘এই এলাকার অর্থনৈতিক ছবিও বদলে যাবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে এখানে নতুন-নতুন সুযোগ তৈরি হবে। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে রাম মন্দির
দেখতে মানুষ আসবেন।’

0 মন্তব্য