About Me

header ads

বাড়িতে বসেই মাইনে নিতে চাইছেন একাংশ শিক্ষক: শিক্ষামন্ত্রী


ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ বাড়িতে বসেই ক্লাস না করিয়ে মাইনে নিতে চাইছেন ত্রিপুরার একাংশ শিক্ষক। শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ ত্রিপুরার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, শিক্ষকদের একাংশ কাজ না করে বাড়িতে বসে বেতন আদায় করতে চাইছেন। তবে সব শিক্ষকরাই এমন নন। শিক্ষকদের একটি মুষ্টিমেয় অংশ এমন আচরণ করছেন।
শুক্রবার রাতে, রাজ্য সচিবালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরার কিছু সংখ্যক শিক্ষকের এই মানসিকতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, ত্রিপুরায় ২০ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে পাড়াভিত্তিক পাঠদান। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিজন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির কাছেই কোনও মুক্ত স্থানে পড়াশোনা করাবেন। এমনটাই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে পাঁচজন করে ছাত্রছাত্রী। প্রতি দিন দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ২টো পিরিয়ড পড়াশোনা করবে প্রত্যেক গ্রুপ।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলাকাতা অনেক ছাত্রছাত্রী অনলাইনে ক্লাস করতে পারেনি। তাঁদের জন্যেই মূলত করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন পর শিক্ষকরা আবারো ছাত্রছাত্রীদের মুখোমুখি! ভীষণ ভালোলাগার একটি পরিবেশ। ত্রিপুরা শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তে মিডিয়া সমালোচনা আরম্ভ করেছে, কিন্তু এদিকগুলোতে পাত্তা না দিয়েই সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে একটি পরিসংখ্যা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০ আগস্ট ১ লক্ষ ১৫ হাজার পড়ুয়া পাড়াভিত্তিক ক্লাসে অংশ নিয়েছে। এবং শুক্রবার সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার। ২১ আগস্ট, সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুক্রবার ১৯ হাজারেরও অধিক শিক্ষক ক্লাস নিয়েছেন। রতনলাল এদিন একাংশ শিক্ষকের সমালোচনা করেও বলেছেন, সাংবাদিকরাই তো শুধু সংবাদ লেখেন না। সংবাদপত্রের সাথে জড়িত কিছু সংখ্যক শিক্ষকরাও লেখালেখি করেন। তাঁরাও দেখা গেছে সরকারের এই পরিকল্পনা বা কর্মসূচির বিরোধিতা করছেন।
এর মাঝেই পূর্বের অভিযোগে তিনি ফিরে গিয়ে বলেন, কিছু শিক্ষক কেবল বাড়িতে বসে বসে বেতন গুণতে চাইছেন। রাজ্যের শিক্ষকদের একটি অংশ এভাবেই তাঁদের বেতন নিতে চান কাজ না করে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কিন্তু ভীষণ গুরুতর। এটি শিক্ষকদের জন্যে অপমানও। তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ গড়েন। ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তোলেন। এর আগে অন্য কোন শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ জাতীয় মন্তব্য করার সাহস করেননি। এমন অভিযোগ পূর্বে কখনো আসেনি। তবে রতনলাল নাথ বারবারই বলেছেন, রাজ্যে এমন শিক্ষকের সংখ্যা মুষ্টিমেয়, যারা বাড়িতে বসে বেতন নিতে চাইছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ