
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ফের হাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ত্রিপুরায়। এবার ঘটনাস্থল ধলাই জেলা। জানা গিয়েছে ধলাইয়ের
কমলপুর উপ-কারাগারে বন্দি থাকা ৩২ বছরের সুজিত গৌর গত কাল মারা গিয়েছে।
শনিবার সকালেই পুলিশ
সুজিতকে গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অত্যাচার করার অভিযোগ ছিল। আদালতে
নিয়ে গেলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। জেল পুলিশের দাবি, গত সন্ধ্যায় সাতটা নাগাদ
সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জেল পুলিশ দ্রুত তাকে কমলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু
চিকিৎসকেরা জানান, বন্দি মারা গিয়েছে। দেহ রাখা হয় কমলপুর হাসপাতালের মর্গে। তাঁর পরিবারের
দাবি, সুজিত যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে- তা বাড়িতে জানায়নি পুলিশ।
এই বছর রাজ্যে এখন
পর্যন্ত পাঁচ জন বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। জানুয়ারি মাসে পশ্চিম আগরতলা থানায়
এক বিচারাধীন বন্দির দেহ মেলে। জানুয়ারির শেষ দিকেই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আরও এক বন্দির
দেহ উদ্ধার হয়। জুন মাসে অমরপুর উপ-কারাগারে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। গত মাসে
কাঞ্চনপুর উপ-কারাগারে এক বিচারাধীন বন্দি মারা যায়। গত বছরের শেষ দিকে গোমতী জেলার
উদয়পুরে আর কে পুর থানায় মঙ্গল দাস নামে এক যুবক মারা যায়। অভিযোগ ছিল, পুলিশের মারেই
তার মৃত্যু হয়েছে। এবার কমলপুর উপ-কারাগারে একই ঘটনা ঘটল।
প্রতি ক্ষেত্রেই
বিরোধীরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তোল। কিন্তু কখনওই দাবি মানেনি ত্রিপুরা সরকার।
দু-একটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক পর্যায়ে তদন্ত চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই তদন্তের রিপোর্ট
সরকার প্রকাশ করেনি। বিচারাধীন বন্দিদের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের মানবাধিকার সংগঠনগুলিও
সরব হয়েছে। তারা নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে। কারণ বিচারাধীন অবস্থায় বন্দি মৃত্যু মানবাধিকার
ভঙ্গের বড় উদাহরণ।

0 মন্তব্যসমূহ