
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যের বর্তমান বিজেপি এবং আইপিএফটি
জোট সরকার কামান চৌমুহনী, কুঞ্জবন এবং নন্দন নগর এলাকায় সরকারি আবাসন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কামান চৌমুনী বিবেকানন্দ মার্কেট
সংলগ্ন এবং কুঞ্জবন এলাকায় সরকারি আবাসন গড়ে তোলার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আর সেই জল যে বহুদূর গড়াতে চলেছে তা সেদিন ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের পূর্বে সেখানকার
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বেকারদের জড়ো হওয়ার দেখে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ স্পষ্ট হয়ে যায়।
যদিও সেদিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সেখানকার জড়ো হওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
প্রকাশ্যে কোনরকম ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেনি। আর সেই বিষয়টিকে কব্জা করে সোমবার শহরে
নেমে পড়ে সি আই টি ইউ, টি আর এস ইউ, ডি ওয়াই এফ আই এবং ডি ওয়াই এফ সংগঠনগুলি।
বাম সংগঠনগুলি এদিন যৌথ
উদ্যোগে রাজধানীর কামান চৌমুহনী এলাকায় ১৫ মিনিট বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কামান চৌমুহনী
এবং কুঞ্জবন এলাকায় সরকারি আবাসন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি
জানায়। বাম সংগঠনগুলির দাবি মূলত, কামান চৌমুহনী বিবেকানন্দ মার্কেটে সরকারি আবাসন
না করা এবং বিবেকানন্দ মার্কেটে ফুটপাত ব্যবসায়ী পূর্ণবাসন প্রদান করা। বিক্ষোভে উপস্থিত
সি আই টি ইউ সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত জানান, কামান চৌমুহনী হলো শহরের প্রধান
বাণিজ্যিক এলাকা। আর এই বাণিজ্যিক এলাকায় সরকার সরকারি আবাসন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। আগরতলা পুর এলাকায় সরকারি আবাসন তৈরি করার জন্য বহু জায়গা আছে। সে সমস্ত
স্থানে সরকার নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের জন্য আবাসন তৈরি করতে পারে। কিন্তু কামান
চৌমুহনীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে সরকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বেকারদের
জন্য ব্যবসার স্থান হিসেবে গড়ে না তুলে সরকারি আবাসন গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
কিন্তু রাজ্যে বিগত বাম সরকার কামান চৌমুহনী বিবেকানন্দ মার্কেট সংলগ্ন এই স্থানটি
বেকারদের এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে মার্কেট করার জন্য চিহ্নিত করেছিল। আর
রাজ্যের বর্তমান সরকার সেই স্থানটি লাভজনক হিসেবে সরকারি আবাসন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। এতে প্রভাব পড়বে বেকারদের উপর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর। যা তীব্র নিন্দাদায়ক
বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
কিন্তু এদিন পুলিশের কাছ
থেকে কোনরকম আগাম অনুমতি না নিয়েই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাম সংগঠনগুলি। আর এই বিক্ষোভ
প্রদর্শনের অগ্রিম খবর রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কাছে ছিল না। ফলে বিক্ষোভ প্রদর্শন
শেষ লগ্নে ছুটে আসে পূর্ব থানা এবং পশ্চিম থানার পুলিশ এবং এদিন বিক্ষোভ শেষ হওয়ার
পর পুলিশ শুরু করে ধরপাকড়। বেশ কয়েকজন বাম সংগঠন নেতৃবৃন্দকে আটক করতে গিয়ে পথচারীদের
মর্জি মাফিক আটক করে গাড়িতে তুলে নিতে চায়। তবে পুলিশের সাথে ধর-পাকড় নিয়ে দীর্ঘক্ষন
বাকবিতণ্ডা চলে ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দে'কে। নবারুন দে একাধিকবার পুলিশের
কাছে দাবি জানায় উনাকে যদি পুলিশ গ্রেফতার করতে হয় তাহলে তিনি যে বিক্ষোভ প্রদর্শনের
উপস্থিত ছিলেন তা গোয়েন্দা শাখার ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করে দিতে হবে। কিন্তু অবশেষে
পুলিশ এদিন সন্দেহভাজন ভাবে নবারুণ বাবুকে ধরপাকড় করে নিয়ে যায়। পুলিশ এদিন গ্রেফতারকারীদের
ধরপাকড় করে পুলিশ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

0 মন্তব্যসমূহ