
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ সালটা ১৯৯৯। আরএসএসের ৪ প্রচারককে উগ্রপন্থীরা
অপহরণ করেছিল। এবং পরবর্তীতে তাঁদের সকলকে মেরে ফেলা হয়। ৪ প্রচারককে ত্রিপুরার মনু
থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণ করেছিল জাতীয় লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার (এনএলএফটি)।
চারজনের মধ্যে ছিলেন শ্যামল সেনগুপ্ত (পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও উত্তর-পূর্বের জোনাল
সাধারণ সম্পাদক), সুধাময় দত্ত (আগরতলার এরিয়া ইনচার্জ), দীনেন্দ্র নাথ দে (দক্ষিণ
আসামে কর্মরত প্রচারকারী) এবং শুভঙ্কর চক্রবর্তী (জেলা প্রচারক)। ১৯৯৯ সালের আগস্টে
এনএলএফটি তাঁদের অপহরণ করে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় সরকার গঠনের পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব মামলাটি
পুনরায় খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং এসআইটি গঠন করেছিলেন। জানা গেছে, পুলিশ সম্প্রতি
সে মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই মর্মে আগরতলার পাঁচ জন আইনজীবী এবং আরএসএসের প্রবীণ
কর্মী ত্রিপুরার রাজ্যপালকে একটি চিঠি লিখেছেন। উক্ত চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেন যে,
তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার এত বড় একটি মামলার সন্ধান করতে পুরো ব্যর্থ হয়েছে।
এই ক্ষোভে বামফ্রন্ট সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা জানিয়ে পয়লা আগস্ট ১৯৯৯ সালে আদালত
চত্বরে অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। অনশনে ছিলেন আরএসএস প্রধান কেএস সুধারশন, সুধাকর,
সুশান্ত সেন। ত্রিপুরার আইনজীবী এবং প্রবীণ আরএসএস নেতা সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন
দে, প্রদ্যুত ধর, পুলক দেবনাথ, জ্যোতির্ময় ঘোষ রাজ্যপালকে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে
রেকর্ড হিসেবে তাঁদের তৎকালীন সময়ের অনশন এবং আন্দোলনের বেশ কিছু ছবি সংযুক্ত করার
আহ্বান জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের পর বাংলাদেশে চারজন আরএসএস প্রচারককে হত্যা করা
হয়েছিল। কর্মী চন্দন দে নর্থ ইস্ট নাও’কে জানিয়েছেন যে,
উক্ত চিঠির একটি করে কপি তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদি,মুখ্যমন্ত্রী এবং আরএসএস প্রধান
মোহন ভাগবতজির কাছেও পাঠিয়েছেন। প্রসঙ্গত, পুলিশ কয়েকদিন আগে চার্জশিটটি জমা দিয়েছে
বলেও জানিয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্যসমূহ