
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ যদি সাধারণ মানুষ সচেতন না হয় তবে ত্রিপুরা রাজ্যে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে
পড়বে। বর্তমানে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের কম। যদি এই হার বেড়ে যায় তবে
আকার ভয়ঙ্কর হবে বলে জানান আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাক্তার সুব্রত
বৈদ্য।
মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে সভাকক্ষে সোমবার (২৪ আগস্ট) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগামী দিনে
কী করে করোনা সংক্রমণ থেকে ত্রিপুরাবাসীকে রক্ষা করা যায় এই বিষয় নিয়ে এদিন বৈঠক
হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন,
রাজ্যে সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। আগরতলার লেক চৌমুহনী বাজারের ৪১ জন
মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, এরমধ্যে ২৬ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গিয়েছে। তাই সামাজিক
দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের
এখন লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের মানুষের এন্টিবডি কত শতাংশ মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে। ভেকসিন
না পাওয়া পর্যন্ত এন্টিবডি চিকিৎসার দিকে এগুতে হবে। সে সঙ্গে আগামী বছরের আগে হয়তো
ভেকসিন পাওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, বাড়িতে
থাকা রোগীদের নিয়মিত পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কাজ করবেন স্থানীয় এলাকায় যে সকল চিকিৎসা
কেন্দ্র রয়েছে ওই কেন্দ্রের চিকিৎসকরা। যদি বাড়িতে থাকা রোগীর শারীরিক অবস্থা হঠাৎ
করে খারাপ হয় ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এর জন্য অক্সিজেনের
মজুদ বাড়ানো হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের
উত্তরে তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে
মোট একশ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
ডাক্তার তপন দাস ও ডাক্তার রাজেশ দেব বর্মা।

0 মন্তব্যসমূহ