
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ শিক্ষক-চিকিৎসকের সঙ্গে যে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সম্পর্ক পড়ুয়া-রোগীর, তা একাংশ
কু-চরিত্রের ব্যক্তির জন্যে একেবারেই শেষ হয়ে যায়। মানুষ বিশ্বাস হারায় এভাবেই। শ্লীলতাহানির
অভিযোগে রাজ্যের উওর জেলার একজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ
রয়েছে ধর্মনগরের বিশিষ্ট মেডিকেল বিশেষজ্ঞ জামিরুল রহমানের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে। জামিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বারে সহকারী হিসেবেই কাজ করতেন যুবতী। তিনি
অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ডাক্তার জামিরুলের উদ্দেশ্য যে ভালো নয়, তা তিনি বুঝতে পারছিলেন
বিভিন্নভাবে। শনিবার ডাঃ রহমান সহকারী মেয়েটিকে ঘরের চেম্বারে ডেকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা
করেন। কোনরকমে সেখান থেকে নিজেকে উদ্ধার করে মেয়েটি স্থানীয়দের দ্রুত জানান পুরো ঘটনার
বিষয়ে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রাও
চুপ করে বসে থাকেননি। ডাঃ রহমানকে এ সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে তাঁর চেম্বারে
গেলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় লোকজনদের বিভিন্ন অপমানজনক কথাবার্তাও
বলেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন।
অসন্তোষজনক এই ঘটনায়
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। আশেপাশের লোকজনেরা ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। এ সময়
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে আসে। থানায় ঘটনা মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে
উপস্থিত ছিলেন উপ-বিভাগীয় পুলিশ অফিসার রাজীব সূত্রধর, ত্রিপুরার মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান
বর্ণালী গোস্বামী প্রমুখ। পরবর্তীতে লোকজনের চাপে পুলিশ চিকিৎসক জামিরুল রহমানকে থানায়
নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এসডিপিও রাজীব সূত্রধর
বলেন, গভীর রাতে উক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং রবিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা
হয় এবং আদালত থেকে জামিনে মুক্তহন তিনি। ত্রিপুরার মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বর্ণালী
গোস্বামী পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পুলিশ পুরো ঘটনাটির তদন্ত করছে।

0 মন্তব্যসমূহ