
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে দীর্ঘসময় যারা শক্তি পরিচালনায়
ছিল, তাদের উন্নয়নমূলক কাজের মানসিকতা ছিল না। আর রাজ্যের টাকা বহিঃ রাজ্যে চলে যেত।
কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যের টাকা রাজ্যে রেখে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সেই
দিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। কারণ বর্তমান সরকার রাজ্যে ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলছে।
আর ব্যবস্থাপনা না থাকলে সাফল্য আসে না। তাই ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে আরবান অথরিটির
মাধ্যমে কামান চৌমুহনিস্থিত বিবেকানন্দ মার্কেট সংলগ্নে এবং কুঞ্জবন এলাকার টুডা টাউনশিপ
প্রজেক্টের ফ্ল্যাটের শিলান্যাস করে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি
বলেন, পূর্বে রাজ্যের মানুষের ফ্ল্যাটে থাকার স্বপ্ন থাকলেও ফ্ল্যাট ক্রয় করতে বহিঃ
রাজ্যে যেতে হতো। কিন্তু রাজ্যে নয়া টুডা প্রজেক্ট এর মাধ্যমে ফ্ল্যাটের শিলান্যাস
পূর্বে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। চার দিনে রাজ্যের মানুষ ফ্ল্যাট ক্রয় করতে এগিয়ে
আসে। কারন এ ধরনের ফ্ল্যাট রাজ্যে হবে বলে রাজ্যবাসী কল্পণা করতে পারেনি। এর দ্বারা
স্পষ্ট সঠিক ব্যবস্থাপনা পেলে রাজ্যের মানুষ রাজ্যেই থাকতে ইচ্ছুক। আগরতলা স্মার্ট
সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে ডেইনগুলি সংস্কার করে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে
চলতি বছর ৮০ শতাংশ বন্যার সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। শহরের সর্বত্রই অত্যাধুনিক
সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। শহরের সমস্ত কিছু কন্ট্রোল সেন্টার থেকে রেকর্ড হয়।
মেয়েরা রাতের বেলাও বাড়ি থেকে নিরাপদে বের হতে পারছে। কারণ তারা জানে তারা সিসি ক্যামেরা
আওতায় আছে। অর্থাৎ নিরাপদ। শহর এলাকার রাস্তাঘাটগুলি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সংস্কার
করে চেহারা বদলে দেওয়া হবে এবং রামনগর এলাকায় ১ হাজার লাইটহাউস গড়ে তোলারও পরিকল্পনা
নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগরতলা সেই নতুন জায়গায় চলে গেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কোথাও
এ ধরনের প্রকল্প চালু হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে নতুন দিশায় নিয়ে
যেতে চাইছে। আর অর্থনৈতিক দিকে কোন রাজ্য দুর্বল, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানতে
নারাজ। কারণ তিনি চান নিজের জায়গায় মানুষকে আত্ননির্ভর করে তুলতে। রাজ্যের টাকা যখন
রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবহার হবে তখন সত্যিই রাজ্য আত্ননির্ভর হয়ে
উঠবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শ্রীদেব আরো বলেন, আত্ননির্ভরশীল ভারত বা আত্ননির্ভরশীল ত্রিপুরা গড়তে কাজ সময়ের
আগে করতে হবে। বিগত কয়েক মাসে করোনা মোকাবিলার জন্য কাজের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ
করতে অতিরিক্ত সময় কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি রাজ্যবাসীকে। আগরতলা পৌর নিগমের
কমিশনের শৈলেশ কুমার যাদব বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হয়।
সেই মোতাবেক মাস্টার প্ল্যানের কাজ হচ্ছে রাজ্যে। আগামী দিনে নন্দন নগরেরও ফ্ল্যাট
গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে।পাশাপাশি আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড. প্রফুল্ল জিৎ সিনহা
বলেন, এই দিনটি শহরবাসীর জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। কারণ প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে।
পরিবার বিভক্ত হচ্ছে। তাই বাসস্থানের প্রয়োজন। আর এ ধরনের ফ্ল্যাট হলে শহর সত্যি তিলোত্তমা
শহরে পরিণত হবে।অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ফ্লাইটের জন্য বেশ কয়েকজন গ্রাহকের
হাতে ব্যাংকের লোনের চেক তুলে দেন।

0 মন্তব্য