
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ লকডাউন পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষদের মাসিক ৭,৫০০ টাকা করে প্রদান করা,
পেট্রোল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহার করা, শ্রম আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত বন্ধ
করা সহ সাধারণ মানুষের স্বার্থ সম্বলিত ১৬ দফা দাবির ভিত্তিতে বুধবার আগরতলার প্যারাডাইস
চৌমুহনিস্থিত এলাকায় সিপিআই(এম) দলের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির তরফে এক বিক্ষোভ
কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত
দলের কর্মী সমর্থকরা গলায় ১৬ দফা দাবি সম্বলিত প্লে কার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
এদিনের এই কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী
তথা বর্তমান বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানিক সরকার
বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। এই লক ডাউনের
জেরে সাধারণ মানুষ আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার সে সমস্ত
মানুষের জন্য কোন কিছুই করছে না। সরকার যে সকল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা পুঁজিপতি অংশের
মানুষের কথা চিন্তা করে কখন করছে। এর ফলে এই লকডাউন সাধারণ গরিব মানুষের জন্য অভিশাপ
হয়ে দাঁড়িয়েছে, অপরদিকে ধনী অংশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এরপরই
সদর মহকুমা পুলিশ এস কুমার মানিক সরকারকে এক স্থানে জড়ো হওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার
করে গাড়িতে তুলেন। এরপর সিপিআইএম দলের কর্মী-সমর্থকরা সংশ্লিষ্ট গাড়িটি ঘিরে পুলিশের
বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে
মুক্ত বলে ঘোষণা করে।
যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর
ঘটনা এড়াতে এদিন সিটি সেন্টারের সামনে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ও আধা সেনা জওয়ান মোতায়েন
করা হয়। সেই সঙ্গে রায়েট কন্ট্রোল ভ্যান এবং পানি কামান রাখা হয়েছিল। কিন্তু কাজের
কাজ কিছুই হয়নি। পুলিশ এদিন ছিল সম্পূর্ণ দর্শকের ভূমিকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ
করতে প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শহরে সিপিএম
কর্মীরা জড়ো হয়ে ফের আরও নয়া আশঙ্কা সৃষ্টি করলো। এদিন পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে
কর্মসূচি যেন সিপিএম পুরোপুরি ভাবে সাফল্য মন্ডিত।

0 মন্তব্যসমূহ