
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ত্রিপুরায় বৃহৎ সংখ্যক সরকারী কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে রাজ্য
সচিবালয়ের একটি অংশ সিল করে দেয়া হয়েছে সাবধানতা অবলম্বনের জন্যে। এর আগে রাজ্য সচিবালয়ের
গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এখন আইন বিষয়ক
সম্পাদক এবং আইন বিভাগের আরও বেশ কয়েকজন আধিকারিকের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে
আর ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্য প্রশাসন সচিবালয়ে আইন বিভাগকে সিল করে দেয়।
করোনা অতিমারি শুরুর
সময়ও বা কিছু পরেও এখানে অতটা ঝুঁকির কিছু নেই বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার
রাতে আইন সচিবের দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এবং এরপর সোমবারই বিভাগের আরো কয়েকজন
কর্মকর্তার দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়। এর পর-পরই সোমবার রাতে রাজ্য সচিবালয়ের আইন
বিভাগটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আইন
বিভাগের আধিকারিকদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের দেহেও করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। পাশাপাশি
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের শরীরেও ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। বিগত পাঁচ মাস ধরে অক্লান্ত
পরিশ্রম করে জনগণের সেবা করছিলেন এমন সামনের সারির একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকও করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন।
এই কথা নিশ্চিত
হওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতর ১৩ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টিনে
পাঠিয়েছে। এর আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পরিবারের ৩ সদস্যের দেহেও করোনা
ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। তবে কোন সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন, সে বিষয়ে বলেননি মুখ্যমন্ত্রী।
পরিবারে করোনার থাবার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে ৭ দিনে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে থেকেই
তিনি কাজ করেছেন। এদিকে, বিপ্লব দেবের নিরাপত্তা কর্মীদের দেহেও কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল।
একজন স্বাস্থ্য
আধিকারিক বলেন যে, যারা সামনের সারির যোদ্ধা, যেমন চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য মেডিকেল
কর্মী, তাঁরা প্রচুর পরিমাণে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

0 মন্তব্যসমূহ