
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ আগরতলার জিবিপি হাসপাতাল
বহুদিন ধরেই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে। হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ নিয়ে রোগীরা বারবারই আপত্তি
জানাচ্ছেন। এবার মুখ খুললেন এজিএমসি’র প্রাক্তন ছাত্রী ডাঃ অভিপ্সা দাস। যিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে
ডাক্তারি অনুশীলন করছেন। জিবিপির করুণ অবস্থাটি তিনি আরো সামনে এনে দিলেন।
জিবিপি হচ্ছে ত্রিপুরার প্রিমিয়ার হাসপাতাল
এবং রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই হাসপাতাল থেকে আগরতলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও
চলছে। সম্প্রতী অভিপ্সা তাঁর ঠাকুমাকে হারিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন
টেস্টে তাঁর শরীরে করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এসেছিল। তাঁকে জিবিপি’তে ভর্তি করানো হয়। তিনি আইসিউতে ভর্তি
ছিলেন। কিন্তু সেখানে রোগীদের জন্যে নেই কোন সু-ব্যবস্থা, পাখা বা এসি। পাশাপাশি চারদিকে
নোংরা পরিবেশ। ৮২ বছরের বৃদ্ধা বীণাপানি রায়কে ডাক্তাররা বাঁচাতে পারেননি।
কিন্তু মূল কথাটি হলো, মারা যাওয়ার পর
তাঁর আরটিপিসিআর রিপোর্ট আসে। এবং সেখানেও তাঁর রেজাল্ট পজিটিভ ছিল। ফলে তাঁকে আর পরিবারের
হাতে তুলে না দিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে করে নিয়ে অসম্মানজনকভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা
হয় বলে মহিলা ডাক্তার অভিযোগ করেছেন। এদিকে সরকার তাঁর দাবিকে ‘ভুয়া’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এরপরই তিনি ফের আরো একটি ভিডিওতে হাসপাতালের
করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন সরকারের গাফিলতির কথা। হাসপাতালের কোভিড
রোগীদের জন্যে ভালো কোন ব্যবস্থা নেই। এয়ার কণ্ডিশন নেই। অপরিচ্ছ্বন্ন পরিবেশ। ভীষণ
কষ্টদায়ক একটি পরিবেশে রোগীরা রয়েছে। এই সমস্ত হাসপাতালের শোচনীয় অবস্থার কথা ডাক্তার
ভিডিওতে প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি "পরীক্ষার পদ্ধতি"
নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল কখনই ৫ মিনিটের মধ্যে আসতে
পারে না। কিন্তু আইজিএম বীণাদেবীকে 'কভিড-রোগী' হিসাবে তৎক্ষণাৎ ঘোষণা করে দিয়েছে।
এজিএমসির প্রাক্তন ছাত্রী বলেন যে তিনি ঘটনায় অত্যন্ত বিব্রত বোধ করছেন। অবস্থার শীঘ্রই
পরিবর্তন করতে হবে। অন্য আর কাউকে যেন এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে না হয়।

0 মন্তব্যসমূহ