
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরার
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পরিবারে দু’জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। যদিও কোন কোন সদস্য আক্রান্ত
হয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি কিছুই উল্লেখ করেননি। এরপরই মন্ত্রীর করোনা টেস্ট করানো হয়,
এবং ভালোভাবেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
কিন্তু প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছেন মন্ত্রী
দেব। কারণ ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মোট ১৫ জনের দেহে করোনা
ভাইরাস ধরা পড়েছে।
এদিকে, উদ্বেগের সংবাদটি হলো, বিপ্লব
দেবের সরকারি বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মোট ৮ জন সিআরপিএরফ কর্মী একইসঙ্গে
পজিটিভ হয়েছেন। ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরায়। তাঁদের বাধারঘাট স্পোর্টস
কমপ্লেক্স কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব
বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই কাজ চালাচ্ছেন।
একথা তিনি তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার
পরই জানিয়েছিলেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-ত্রিপুরায় ধীরে ধীরে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের
সংখ্যা!
এদিকে আনলক-১ প্রক্রিয়ার পর মঙ্গলবার
থেকে ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে আনলক ২ প্রক্রিয়া। রাজ্যে প্রায় সব দোকানপাট, বাণিজ্যিক
প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গণপরিবহন ব্যবস্থাও আরম্ভ হয়েছে আনলক-২ প্রক্রিয়ায়।
বিপ্লব দেব সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যবাসীর জন্যে এই শিথিলতা দেয়া হয়েছে যদিও কঠোরভাবে
স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং শতভাগ মাস্ক
পরিধান করতে হবে। তবে পূর্বের মতোই রাতের কারফিউ রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বলবৎ
থাকবে। আইন মেনে সকলকে চলাফেরা করতে হবে। ১১ আগস্ট ভোর থেকে শুরু হয়ে আগামি ৩১ আগস্ট
দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
ত্রিপুরার মুখ্যসচিব বিজ্ঞপ্তি জারি করে
স্পষ্ট জানিয়েছেন যে করোনার ঝুঁকি থাকা এলাকাগুলোতে কিন্তু লকডাউন জারি রাখা হবে। সে
অঞ্চলগুলোতে কেবল জরুরি পরিষেবা কার্যকর থাকবে। সাবধান করা হয়েছে জনগণকে, অযথা যেন
কেউ ঘরে বাইরে না বেরোন। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত
বন্ধ থাকবে। এর আগে খোলার কোন অনুমতি নেই।
এদিকে, জিমনেসিয়াম, সুইমিং পুল এবং স্পোর্টস
মিলগুলো আনলক ব্যবস্থা গ্রহণের সময় বন্ধ থাকবে। রাজনৈতিক বা সামাজিক কারণে অপ্রয়োজনীয়
জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাজ্যে।

0 মন্তব্যসমূহ