
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ সরাসরি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে না গিয়ে, নতুন নিয়োগে কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্মী সংকোচনের পদে
হাঁটল ভারতীয় রেল। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া নতুন করে কোনও পদ সৃষ্টি করার
উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রেলওয়ে বোর্ড। সেই সঙ্গে বর্তমান শূন্যপদের ৫০ শতাংশ পদ
অবলুপ্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলবোর্ডের যুগ্ম সচিব অজয় ঝায়ের পাঠানো ওই
চিঠিতে।
২ জুলাইয়ের ওই চিঠি দেশের সমস্ত রেলওয়ে জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের পাঠানো
হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, কোভিড পরিস্থিতির জেরেই নিয়োগে নিয়ন্ত্রণ আনছে রেল। ওই চিঠিতে সমস্ত রেল জোনকে
জানানো হয়েছে, গত দু’বছরে যে যে পদ
সৃষ্টি করা হয়েছে সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা এবং কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে। সেই সমস্ত পদে
যদি এখনও নিয়োগ না হয়ে থাকে, তবে সেই সমস্ত পদ অবলুপ্ত করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
তবে রেল বোর্ড সূত্রে খবর, শূন্যপদ পূরণ করতে ২০১৮ সালে রেলের টেকনিক্যাল এবং নন টেকনিক্যাল বিভিন্ন পদে
যে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা বিঘ্নিত হবে না। প্রায় ৬৩ হাজার সহকারি লোকো
পাইলটের নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। বাছাই প্রার্থীদের নিয়োগ পত্র পাঠানোর
কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। নন-টেকনিক্যাল বিভিন্ন শূন্যপদে আরও ৩৫ হাজার নিয়োগের
প্রক্রিয়াও কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শুরু করা হবে বলা জানা গিয়েছে রেল
সূত্রে।
অজয় ঝায়ের এই চিঠির আগেই রেল বোর্ডের ফিনান্স কমিশনার মঞ্জুলা রঙ্গরাজন সমস্ত
রেল জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের চিঠি দিয়ে খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অপ্রয়োজনীয় বা যে খরচ অত্যাবশ্যকীয় নয় তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মঞ্জুলা।
যেমন যাত্রী রিজার্ভেশনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে অন্য কাজে নিযুক্ত
করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কারণ ধীরে ধীরে কাউন্টারে এসে রিজার্ভেশন করার ভিড়
এখন অনেক কম। বড় অংশের যাত্রীই এখন অনলাইনে টিকিট কাটেন। এ রকম আরও বেশ কিছু
ক্ষেত্রে খরচ কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২৪ মার্চ থেকে গোটা দেশে যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ। মাত্র ১১৫ জোড়া বিশেষ
ট্রেন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। যদিও পণ্যবাহী ট্রেনের পরিষেবা স্বাভাবিক
রয়েছে। তবে রেল বোর্ডের তরফে স্পষ্ট
নির্দেশ, রেলের
নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও আপস করা হবে না। সেখানে নিয়োগেও বাধা নেই। ওই খাত
থেকে কোনও খরচ কমানোর নির্দেশও দেওয়া হয়নি।

0 মন্তব্যসমূহ