
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল নাগাল্যান্ড সরকার। সেখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্য,
কুকুরের মাংসই নিষিদ্ধ হচ্ছে নাগাল্যান্ডে! দেশ-বিদেশের
পশুপ্রেমীদের তীব্র চাপের ফলেই শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিল নেফিয়ু রিও সরকার।
২০১৬ সালেই কুকুরের মাংস কেনাবেচা নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছিল নাগাল্যান্ড
সরকার। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসতে থাকে। তাই প্রস্তাবের স্তরেই থেকে
গিয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে চলতি বছর মার্চে মিজোরাম কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করে।
আজ নাগাল্যান্ডের মুখ্য সচিব তেমজেন টয় ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকার কুকুরের বাণিজ্যিক আমদানি,
কুকুরের মাংসের বাজার, রান্না করা বা কাটা কুকুরের মাংস বেচাকেনা নিষিদ্ধ ঘোষণা
করেছে। এই নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।
সম্প্রতি পশুপ্রেমী সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিম্যাল প্রোটেকশন
অরগানাইজেশনস বা ফিয়াপো নাগাল্যান্ড সরকারের কাছে অবিলম্বে কুকুরের মাংস বিক্রি
নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল। স্মারকলিপি দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিওকে।
তাদের অভিযোগ ছিল, ডিমাপুরের পশু
বাজারে নৃশংসভাবে কুকুর কেনাবেচা, কাটা, মাংস বিক্রি
চলছে। প্রতিদিন অসম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কুকুর আসছে নাগাল্যান্ডে।
কুকুর পাকড়াওকারীরা একটি কুকুর ধরে পান ৫০ টাকা। নাগাল্যান্ডের বাজারে সেই
কুকুরই প্রতিটি হাজার টাকায় বিক্রি হয়। নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস খুবই জনপ্রিয়।
মনে করা হয় এই মাংস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও যৌন ক্ষমতা বাড়ে। গত লোকসভা
নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন হওয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের নাগা জওয়ানদের
বিরুদ্ধে গ্রামের কুকুর মেরে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নাগাদের অবশ্য আশঙ্কা,
সরকার সিদ্ধান্ত নিলেও কালোবাজারে কুকুরের মাংস
বিক্রি চলবে, বাড়বে
দামও।

0 মন্তব্যসমূহ