
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ জৈব চাষের উপর ত্রিপুরা সরকার জোর দিচ্ছে
বেশি করে। আগামি তিন বছরে ২৮ হাজার হেক্টর ধানের জমিকে পরিবর্তন করে ভুট্টা চাষ করার
পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ
দফতরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায়।
আজ, ১৫ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভুট্টার দারুণ সব ছবি সোশ্যাল
মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। কৃষকদের উৎসাহিত তিনি লিখছেন, এই মরসুমে ত্রিপুরার কৃষকরা দুর্দান্ত
স্বাদ এবং মানের জৈব ভুট্টা উত্পাদন করেছেন। ভুট্টা চাষের বিশাল সুযোগ রয়েছে, পাশাপাশি
জীবিকা নির্বাহ ও ভাল ফলন দেয়। আমি আরও কৃষকদের ভুট্টা চাষে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ
করছি, আমাদের সরকার অবশ্যই আপনাকে সহায়তা করবে”।
মোদ্দা কথা ত্রিপুরা সরকার জৈব চাষের উপর ভীষণ রকম জোর দিয়েছে। রাজ্যে কিছু কিছু
জায়গায় সুগন্ধি চাল, অড়হর, আদা, হলুদ, সরিষা, ভুট্টা আনারসসহ কিছু কিছু সবজি চাষ হচ্ছে
জৈব চাষ পদ্ধতিতে। এর আগে মন্ত্রী প্রাণজিৎ জানিয়েছিলেন, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ
৫২ হাজার কৃষক রয়েছেন। যে জায়গায় ধান চাষে এক টাকা খরচ করলে আয় হয় এক টাকা ৪৫ পয়সা।
লাভ থাকে ৪৫ পয়সা। সে জায়গায় ভুট্টা চাষে এক টাকা খরচ করলে আয় হয় দুই টাকা ১৯ পয়সা।
লাভ থাকে এক টাকা ১৯ পয়সা। ধান চাষের চেয়ে ভুট্টা চাষে চার ভাগের এক ভাগ জলের প্রয়োজন
হয়।
তিনি আরো বলেন, “উচ্চফলনশীল প্রজাতির ভূট্টা চাষ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা
হবে দফতরের তরফে। চাষিদের উৎপাদিত ভুট্টা সরকার বাজারজাত করার দায়িত্ব নেবে। ভুট্টা
চাষিদের প্রতি হেক্টর পিছু ছয় হাজার টাকা করে রাজ্য সরকার আর্থিক সহায়তা করবে। ভুট্টার
ফসল ছাড়াও এই গাছের সব অংশই প্রায় কাজে লাগে। মুরগি ও মাছের খাবার তৈরি করার জন্যেও
ভুট্টা গাছের ব্যবহার হয়। ধানের পর ভুট্টাকে রাজ্যের দ্বিতীয় ফসল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অর্গানিক ফসলের চাহিদা বাড়ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যেও জমিকে
অর্গানিক জমিতে রূপান্তরিত করার জন্যে জোরদার কাজ চলছে।

0 মন্তব্য