
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ বিলোনিয়া রাম ঠাকুর পাড়ার শচীন্দ্র দাসের তৃতীয় পুত্র সাজু দাস গত রবিবার
টোপর মাথায় দিয়ে বর সেজে নতুন জীবনের সূচনা করার জন্য ঘর থেকে বের হয় নতুন জীবন
সঙ্গীকে নিয়ে আসবে বলে। কিন্তু সেটা আর হলো না। বিয়ের পিঁড়িতে বসে বিয়ের মাঝ পথেই
উচ্চ রক্তচাপের কারণে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে সাজু।
তৎক্ষণাৎ বিলোনিয়া গাবুরছড়া মেয়ের বাড়ি থেকে বর সেজে যে গাড়িতে মেয়ের
বাড়িতে হাজির হয়েছিল সেই গাড়িতে নিয়ে আসা হল প্রথমে মাইছড়া প্রাথমিক হাসপাতলে,
তার পরবর্তীতে বিলোনিয়া মহাকুমা হাসপাতাল কর্তব্যরত
চিকিৎসক জানান ব্রেইন হেমারেজ হয়েছে। সাজুর
অবস্থা বেগতিক দেখে দেরি না করেই তাকে স্থানান্তরিত করে আগরতলা জিবি
হাসপাতালে। জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা চলতে থাকে। একদিকে ডাক্তারবাবুদের আপ্রাণ
প্রচেষ্টা, অন্যদিকে সাজু
নতুন জীবন শুরু করার জন্য মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াই চলছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তারবাবুদের আপ্রাণ চেষ্টা ও সাজুর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা
লড়াই সবি ক্ষান্ত হয়। বর সেজে বের হয়ে কফিনবন্দি হয়ে ফিরল সাজুর দেহ। এই
ঘটনায় সম্পূর্ণ বিলোনিয়া শহর শোকস্তব্ধ। মৃত্যুর সময় সাজু রেখে গেছে তার
মা-বাবা আর ভাই বোন সহ অন্যান্য আত্মীয় পরিজন এবং নববিবাহিত তার স্ত্রীকে।
এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল সাজু দাস। পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী।
সাজু দাসের মৃত্যুটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তার মরদেহ যখন তার নিজ বাসভবনে
নিয়ে আসা হয় তখন সর্বত্র কান্নার রোল পড়ে যায়। কান্নার জলে বিদায় জানাতে হলো
নববিবাহিত সাজু দাসকে।

0 মন্তব্যসমূহ