ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এক মন্ডল সভাপতি সহ তিনজন কার্য্যকতাকে দল থেকে
বহিস্কার করেছে বিজেপি৷ রবিবার বিজেপি রাজ্য কার্যনিবাহী কমিটির তরফ থেকে প্রচারিত
এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে৷ প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে আরও দুই নেতাকে
কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷
বিজেপির প্রচারিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিন কার্যকর্তাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পার্টি থেকে
বহিস্কার করা হয়েছে৷ পার্টির রাজ্য সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা বরখাস্ত নামায় সাক্ষর
করেছেন এবং তদুর্ধ পদাধিকারীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ
দিয়েছেন৷
গত ২৯ মে বামুটিয়া মন্ডলের সভাপতি কাজল দে-এর বিরুদ্ধে সুনির্দিট কিছু অভিযোগ
এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়৷ গত ৪ জুন তিনি এর জবাবি পত্রে আত্মপক্ষ
সমর্থন করার চেষ্টা করেন৷ পরবর্তী পর্য্যায়ে পার্টির রাজ্য সভাপতির নির্দেশ
মোতাবেক রাজ্য স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন কার্যকর্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে
বিস্তারিত বিচার বিশ্লেষণ করেন৷

কিন্তু, পার্টি রাজ্য
নেতৃত্ব কাজল দে’র দেওয়া জবাব সন্তুষ্ট হতে পারেনি৷ তার বিরুদ্ধে দলীয় শঙ্খলা ভঙ্গ এবং পার্টির
ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে৷ এই অবস্থায় পার্টি সভাপতির কাছে
রিপোর্ট পেশ করা হয়৷ রবিবার পার্টি প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা তাকে ছয় বছরের
জন্য দল থেকে বহিস্কার করেছেন৷ একই সঙ্গে জেলা সভাপতিকে দেওয়া নির্দেশ মোতাবেক
তাকে মন্ডল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
একইভাবে দক্ষিণ জেলার বাসপদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন গুহকেও পার্টির
ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ছয় বছরের জন্য পার্টি থেকে
বহিস্কার করা হয়েছে৷ পার্টির দক্ষিণ জেলাার সংখ্যালঘু মোর্চার কার্যকর্তা রহিম
মিঞাকেও একই অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযাগের ভিত্তিতে
উভয়কেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, তারা কেউই তাদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে কোন সন্তোষজনক উত্তর
দিতে পারেনি৷
অন্যদিকে, পার্টি রাজ্য
কমিটির সদস্য তথা কৈলাসহর পুর পরিষদের সহসভাধিপতি নিতিশ দের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট
কিছু অভিযোগ পার্টির প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে৷ এর উপর ভিত্তি করে রবিবার
সমস্ত অভিযোগগুলির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়ে পার্টির রাজ্য সভাপতি নিতিশ দেকে সাত
দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন৷ অনুরূপভাবে সুরমা মন্ডলের
কার্য্যালয় সম্পাদক ননী গোপাল করের বিরুদ্ধেও দলীয় সংবিধান বিরোধী কার্যকলাপের
অভিযোগ উঠেছে৷ তাকেও সাত দিনের সময় দিয়ে রবিবার কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা
হয়েছে৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য লিখিতভাবে তারা তাদের উপযুক্ত জবাব প্রদেশ কর্য্যালয়ে
না পাঠালে তাদের বিরুদ্ধে পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও
বিজেপির প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে৷

0 মন্তব্যসমূহ