
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ জন্মদাতা পিতা ও সৎ মায়ের ক্রমাগত আক্রমণের শিকার ১৫ বছরের নাবালিকা। এই খবর
পেয়ে নাবালিকা ছাত্রীর দাদুর বাড়িতে যান
ত্রিপুরা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন।
সোমবার ত্রিপুরা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন নীলিমা ঘোষ সহ এক
প্রতিনিধিদল সেই বাড়িতে যান। তিনি তেলিয়ামুড়া থানার নেতাজিনগর এলাকার নাবালিকা
মেয়েটির দাদুর বাড়িতে যান। মেয়েটি ও তার
দাদুর বাড়ি লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত জানেন।
নাবালিকা মেয়েটির পিতার বাড়ি ধলাই জেলার আমবাসার জয়ন্তী বাজার এলাকায়। মেয়েটির
বয়স যখন দেড় বছর ছিল তখন তার নিজের মা মারা যায়। পরে নাবালিকা মেয়েটির পিতা
দ্বিতীয় বার বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নাবালিকা মেয়েটির উপর অত্যাচার শুরু হয়।
মেয়েটির বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্মদাতা পিতা ও সৎ মায়ের অত্যাচার এমন
পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় সারাদিন বাড়ি ছাড়া থাকতে হতো। এমনকি মা-বাবার চোখে ধুলো
দিয়ে চুরি করে ভাত খেত হত নাবালিকাকে। আর ধরা পড়লে চলত শারীরিক ও মানসিক
নির্যাতন। তার মধ্যে দিয়েই মেয়েটি
পড়াশোনা চালিয়ে যায়। পরে তার মাসি খবর পেয়ে মেয়েটিকে তার সাথে দাদুর
বাড়ি তথা নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে।
এই খবর সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার বিকালে যান ত্রিপুরা রাজ্য শিশু
সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন নীলিমা ঘোষ। পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলেন। মেয়েটি
তার জন্মদাতা পিতার বাড়িতে যেতে নারাজ। চোখের জলে নাবালিকা মেয়েটি অনাথ আশ্রম
থাকতে রাজি। এদিকে ত্রিপুরা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন নাবালিকা
মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হবে বলে জানান। এর জন্য
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

0 মন্তব্য