
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস মহামারীর ফলে গোটা দেশে চলছে আনলক ওয়ান। তবে লকডাউন এর ফলে
কর্মহীন হয়ে পড়েছেন গোটা দেশের সাথে রাজ্যের একাংশ শ্রমজীবী মানুষ। আর তাদের কথা
মাথায় রেখে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্দেশিকা জারি করেছিলেন যেন তিন মাস পর্যন্ত
লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে যারা ঋণ গ্রহীতা রয়েছেন
তাদের কিস্তি আদায় এর জন্য যাতে চাপ সৃষ্টি না করা হয়।
কিন্তু নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করে প্রতিমাসেই ঋণগ্রহীতাদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ত্রিপুরা উত্তর জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলোতে দিন আনতে পান্তা ফুরায় মানুষেরা
বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে বন্ধন ব্যাংক কর্তৃক ঋণ নিয়ে ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা
নির্বাহ করছিলেন। কিন্তু এই মহামারীর জেরে লকডাউন এর ফলে আজ পুরোপুরিভাবে কর্মহীন
হয়ে পড়েছেন ঐসব মানুষগুলো। বিশেষ করে ঋণের চাপ মাথায় নিয়ে দিশেহারা একাংশ গ্রামীণ
এলাকার মহিলারা।
উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের অধীন পূর্ব ফুলবাড়ী ১ নং ওয়ার্ডের অনামিকা গ্রুপ
এবং শ্রাবণী গ্রুপের সদস্য সদস্যরা মিলে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদে সামিল হন।
তারা কদমতলা বন্ধন ব্যাংকের শাখা থেকে ঋণ নিয়ে কোনভাবে জীবিকা নির্বাহ করে
ব্যাংকের কিস্তি ও দিয়ে যাচ্ছিলেন নিয়মিত। কিন্তু লাগাতর লকডাউন এবং বর্তমানে
আনলক ওয়ান এর ফলে সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। এদিকে বন্ধন ব্যাংক কর্তৃক
কিস্তি আদায়ের জন্য তাদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনামিকা এবং
শ্রাবণী গ্রুপের প্রায় শতাধিক সদস্যারা। তাদের দাবি এই লকডাউন পরিস্থিতিতে ছয়
মাস পর্যন্ত তাদের কিস্তি মুকুব করার জন্য। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে
তারা নিয়মিত কিস্তি প্রদান করে যাবেন বলে জানান অসহায় খেটে খাওয়া মহিলারা।

0 মন্তব্যসমূহ