
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ সামাজিক অবক্ষয়ের করুন চিত্র প্রকাশ্যে এলো
উত্তর ত্রিপুরা জেলার দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ৫৫ বছরের নরপিশাচ দ্বারা
৭ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল ৩১শে মে দুপুর আনুমানিক ৩ঘটিকা নাগাদ নাবালিকার মা, মেয়েকে সাথে নিয়ে পাড়ার মদন রবিদাস এর বাড়িতে জল আনতে যান।
জল নিয়ে ফিরে আসার সময় কিছুদূর এসে মা লক্ষ করেন যে তার মেয়ে তার পেছনে নেই, সাথে সাথে উনি জলের পাত্র রাস্তায় রেখে কিছুদূর এগোতেই
মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। দৌড়ে গিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতেই তার নাবালিকা মেয়ে
অর্ধ নগ্ন অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে তার কাছে ছুটে এসে বিস্তারিত খুলে বলে। তিনি তখন
ঘরের মধ্যে অভিযুক্ত মদন রবিদাসকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। মায়ের
চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন, ততক্ষণে মদন রবিদাস বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে ঘটনা এলাকায় প্রচার হতেই অভিযুক্ত মদন রবিদাস
কিছু দুষ্ট চক্রের মাধ্যমে ঘটনা রফাদফা করার চেষ্টা করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের
প্রতিনিধিরা নাবালিকার বাড়িতে এসে নাবালিকার মা’কে বিচারের মাধ্যমে বিষয়টি দেখে দেওয়ার প্রস্তাব দেন কিন্তু
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর চাপে পড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা কোন আইনি ব্যবস্থা
গ্রহণ নাকরেই নাবালিকার বাড়ি থেকে চলে আসেন।

ঘটনার সময় নাবালিকার বাবা কাজে ছিলেন উনি সন্ধ্যার সময় কাজ
থেকে ফিরে ঘটনার বিস্তারিত জেনে এলাকাবাসীর দ্বারস্থ হন।
ঘটনার খবর যায় চাইল্ড লাইন ধর্মনগরের কাছে। রাত্র আনুমানিক
১০ঘটিকা নাগাদ পুলিশ এলাকায় আসা মাত্র অভিযুক্ত গা ডাকা দেয়। অবশেষে এলাকার এক
পরিত্যক্ত জায়গা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। নাবালিকার পিতা
রাতেই ধর্মনগর মহিলা থানায় মামলা দাঁয়ের করেন।
সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত মদন রবিদাসকে ১৪ দিনের
জন্য জেল হেফাজতে পাঠান। এদিকে নাবালিকার পরিবারকে সোমবার সকাল থেকেই নাবালিকার
মেডিকেল টেস্টের নাম করে ধর্মনগর মহিলা থানায় বসিয়ে রাখা হয় কিন্তু সকালে পেরিয়ে
সন্ধ্যা হয়ে গেলেও নাবালিকার মেডিকেল টেস্ট করা হয়নি এ নিয়ে নাবালিকার পরিবার
ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযুক্ত মদন রবিদাসকে বাঁচাতে
দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাল রাত থেকেই মাঠে নামেন। এহেন
ন্যক্কার জনক অসামাজিক ঘটনায় দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ধরনের ভূমিকায়
এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

0 মন্তব্য