
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ করোনা মোকাবেলায় সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলছে রাজ্য সরকার। মোম্বাই
থেকে এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ফিরে এসেছে ১ হাজার ১৫৪ জন। তাদের সকলের নমুনা সংগ্রহ ও
পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মোতাবেক প্রথমদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার
নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮৯৯ জনের। তার মধ্যে আগরতলা ও ধর্মনগর মিলে এইদিন ৩৪৪ জনের
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাকিদের নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে। নমুনা সংগ্রহ করার
বাকি রয়েছে ২৫৫ জনের। বুধবারের মধ্যে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। অনুরুপ ভাবে
বাংলাদেশ থেকে যে ১০৫ জন আসবে তাদেরও নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হবে।মঙ্গলবার
মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি আরও বলেন রাজ্যে বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রয়েছে ২৬ হাজার ৯৪৪ জন। ১৪ দিনের
সময়সীমা সম্পন্ন করেছে ১৬ হাজার ৫৭৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩৩০
জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১০ হাজার ২৫ জন।

সোমবার পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৩৭৬ জনের। নমুনা পরীক্ষা
করা হয়েছে ২২ হাজার ৩৮ জনের। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে ১৯৮ জনের।
নেগেটিভ এসেছে ২১ হাজার ৮৪০ জনের। সুস্থ হওয়ার হার ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এইদিন চোরাইবাড়ি
দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছে ২৪৬ জন। তার মধ্যে ট্র্যাক চালক রয়েছে ৮৯ জন। রোগী রয়েছে
১৬ জন। বাকি ১৪১ জন সাধারন মানুষ। এইদিন গাড়ি এসেছে ২৬৯ টি। হটস্পট এলাকা থেকে
এসেছে ২৩ টি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন বলেও
জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।SOP-র নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
জুলাই মাসে উচ্চ ও দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম
শ্রেণী পর্যন্ত আগস্ট মাসে, প্রাথমিক স্তরে সেপ্টেম্বরে ক্লাস চালু হতে পারে। এই নির্দেশাবলী পরিবর্তন হতে
পারে পরিস্থিতি অনুযায়ী। SOP পরিবর্তন অনুযায়ী এই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর জন্য আগাম প্রস্তুতি
নেওয়া হয়েছে রাজ্যে। সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
এখনো পর্যন্ত রাজ্য থেকে বহিঃরাজ্যে গিয়েছে ৯ টা ট্রেন। এই ট্রেন গুলিতে করে
১৪ হাজার ২৫৬ জন রাজ্য থেকে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে গেছে। ২৯ মে পর্যন্ত রাজ্য থেকে
কোন ট্রেন কোথায় যাবে তার শিডিউল হয়ে গেছে। ৩০ ও ৩১ মে-এর শিডিউল এখনো হয়নি।
ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে ২৯ টি রাজ্যের ১০ হাজার ৩২৪ জন লোক রয়েছে। তার মধ্যে
পশ্চিমবঙ্গের ৪ হাজার ১৪৮ জন। তাদেরকে নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে
বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

0 মন্তব্যসমূহ