
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে প্রতি বছর ঝর বৃষ্টি এবং বন্যায় কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই
ক্ষতির নিরিখে হাইরিস্ক জোনে থাকা ২১ হাজার ৫০০ টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তাদের বিমার আওতায় এনে ক্ষতি পূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এই প্রকল্প
বিভিন্ন কারনে ফলপ্রসু হয়নি। রাজ্যে মোট কৃষকের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার। এর মধ্যে
৪ লক্ষ ৪২ হাজার রয়েছে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক। এরাই মূল। এই সমস্ত কৃষকদের
স্বার্থে রাজ্য মন্ত্রী সভা বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা
যোজনার পাশাপাশি ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে মুখ্যমন্ত্রী ফসল
বিমা যোজনার আওতায় আনা হবে।

এর জন্য দুইটি স্লেব করা হয়েছে। প্রথম স্লেফে এক একর জমি রয়েছে এমন কৃষকদের
চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মোট সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯ হাজার। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্লেফে এক
হেক্টর পর্যন্ত জমি রয়েছে এমন কৃষক থাকবে। যার মোট সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৩ হাজার। প্রথম
স্লেফে থাকা কৃষকদের বিমার প্রিমিয়াম বাবদ প্রতি কানিতে দিতে হবে ১০ টাকা। রাজ্য
সরকার প্রতি কানি পিছু প্রিমিয়াম বাবদ দেবে ২১০ টাকা ৯৩ পয়সা। দ্বিতীয় স্লেফে থাকা
কৃষকরা প্রতি কানিতে প্রিমিয়াম দেবে ১০০ টাকা। রাজ্য সরকার দেবে কানি পিছু ১২০ টাকা
৯৩ পয়সা। এতে রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে ১৪ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা। বুধবার মহাকরণে
মন্ত্রী সভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ।
অন্যদিকে মিটার অটোর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধন্ত
নিয়েছে। তিনটি স্লেফের পরিবর্তে দুইটি স্লেফে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম
স্লেফে ৪ দশমিক ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হবে ৩০ টাকা। এর পর প্রতি
কিলোমিটার ভাড়া গুনতে হবে ৭ টাকা ২০ পয়সা করে। এর জন্য চারটি সংস্থাকে নিয়ম মেনে
মিটারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সহসাই এর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী
রতন লাল নাথ।

0 মন্তব্য