
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ লকডাউনের জেরে জিএসটি আদায় কমেছে। নিম্নমুখী সরকারের আয়। ফলে রাজকোষে ঘাটতি
দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জ্বালানিতে বিপুল পরিমাণে শুল্ক (এক্সাইড)
শুল্ক বাড়াল মোদী সরকার। মঙ্গলবার রাতে পেট্রলে লিটারপ্রতি ১০ টাকা এবং ডিজেলে
প্রতি লিটারে ১৩ টাকা করে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়। এর ফলে পেট্রল ও ডিজেল থেকে
কেন্দ্রের ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে৷ তবে,
এই পদক্ষেপে খোলা বাজারে জ্বালানির দামে কোনও প্রভাব
পড়বে না বলে জানানো হয়েছে।

গত দু’মাসের মধ্যে এই
নিয়ে দু’বার জ্বালানীতে
আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করল কেন্দ্র। রাষ্ট্রাত্ত তেল সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়াম
কর্পোরেশন লিমিটেড, হিন্দুস্তান
পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, ইন্ডিয়াল অয়েল কর্পোরেশন অবশ্য গত মার্চ থেকেই তেলের দাম কমিয়েছে। করোনার জেরে
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমায় খোলা বাজারে লিটার প্রতি পেট্রল,
ডিজেলের দাম কমেছিল।
করোনার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা তলানিতে। করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে
শিল্প, কারখানা সব
বন্ধ। লকডাউনের জেরে বন্ধ পরিবহণও। এই চাহিদা কমায় তেলের দাম আরও কমে গিয়েছে।
কিন্তু সেই মূল্যহ্রাসের সুবিধা আম ভারতবাসী পাবেন না। কারণ তেলের দাম না কমিয়ে
রাজকোষের ঘাটতি পুরণের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

0 মন্তব্যসমূহ