
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ লকডাউনকে উপেক্ষা করে ত্রিপুরা-অসম সীমান্ত অতিক্রম করে করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দিতে
বিভিন্ন ব্যক্তিদের আনাগোনা অব্যাহত থাকায় উভয় সীমান্তে জনমনে করোনা
ভাইরাস সংক্রমনের আশঙ্কা সহ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।দুটি রাজ্যের সীমান্ত এলাকা
সিল করা সত্বেও এই রাস্তা দিয়ে মানুষের অবাদে আনাগোনাতে প্রশাসনের ভুমিকা
নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকার সচেতন মহলে।প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী গত এগারো
দিনে অবৈধ ভাবে রাজ্য পেরিয়ে অবৈধভাবে অসমে প্রবেশের পথে পাথারকান্দির সোনাখিরা
পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মোট ১৫ জন ব্যক্তি।তাদেরকে পৃথক পৃথক ভাবে সোনাখিরা পুলিশ
চেকপোষ্টের ইনচার্জ সুখেস দাস আটক করে সার্কেল প্রশাসনের তত্বাবধানে
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেন।
আজ সকালে ধর্মনগরের কৃষ্ণপুর থেকে পায়ে হেঁটে অসমের গোলাঘাটের দুই শ্রমিক
সোনাখিরায় পৌছালে তাদেরকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ।এদিকে ধরা পড়ার পর ওদের
হাতে কোনও টাকা না থাকায় ইনচার্জ তাদেরকে নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভাত খাবার
ব্যবস্থাও করে দেন। ধৃত ব্যাক্তিদের নাম অতুল কুর্মি ও মিটু কোঁওর। তারা জনৈক
হানিফ উদ্দিন নামের এক ঠিকাদারের তত্বাবধানে সিমেন্টের কাজ করছিল। পরে তাদেরকে
হস্তান্তর করে দেওয়া হয় পাথারকান্ধির স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে।

অনুরূপ ভাবে গতকাল সোমবার বিকেলে ত্রিপুরার জিরানিয়া থেকে কাঁঠলতলী হয়ে আসার
পথে সোনাখিরা পুলিশ চেকপোষ্টে এসে আটকে পড়েন আরোও চার ব্যাক্তি সহ দুই চালক।এরা
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নদীপথে অসমে প্রবেশের পর সোনাখিরাতে এসে ধরা পড়ে।এরা হলেন দিলালহোসেন, তপনদেব,আজিম উদ্দিন,অমলেন্দু দেব,
জামাল উদ্দিন ও ফকর উদ্দিন।এদের প্রত্যেকের বাড়ি
অসমের নিলামবাজারে বলে নিজেদের স্বীকারোক্তিতে জানায়।
পরে প্রশাসনিক ভাবে এদের কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়।উল্লেখ্য যে এর আগে গত নয়
মে নিজ বাড়ির টানে আগরতলা থেকে রেল পথ ধরে পায়ে হেঁটে অসমে প্রবেশ করে
পাথারকান্দির সোনাখিরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে চার ব্যক্তি।অনুরূপ ভাবে গত সতেরো
মে রাতের অন্ধকারের সুযোগকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরার ধলাই জেলার হটস্পট জোন থেকে
লরিতে করে অসমে প্রবেশ পথে আটকা পড়ে কলকাতার মালদার এক যুবক।
এরপর একই ভাবে গতকাল সোমবার দুপুরবেলা ত্রিপুরা থেকে অসমে অবৈধ ভাবে প্রবেশের
পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন পাঞ্জাবের দুই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।এদিকে করোনা সংক্রমণ
প্রতিরোধে সম্প্রতি প্রশাসনিক তরফ থেকে ১৮ কিমি ত্রিপুরা অসম সীমান্ত এলাকা সিল
করে দেবার পর ও কিভাবে দিনের পর দিন রাজ্য অবাদে ভিন রাজ্যের ব্যাক্তির আনাগোনা
চলছে এব্যাপারে ভেবে আতঙ্কিত সচেতন মহল।বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এলাকার সচেতন মহল
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য