
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত দুই। এরা বর্তমানে জিবি হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট
সেন্টারে চিকিৎসাধীন। শনিবার এই দুই জনের করোনার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ
আসার পর ফ্লু ক্লিনিক থেকে ট্রিটমেন্ট সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। রাজ্যে
করোনা আক্রান্ত দুই নতুন ব্যক্তি আমবাসার জহরনগরস্থিত বি.এস.এফ ১৩৮ নং বাহিনীর
জওয়ান। তাদের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল আর একজন কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত।
শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি আরও জানান বি.এস.এফ ১৩৮ নং বাহিনীতে কর্মরত হেড কনস্টেবল গত ১১ মার্চ আসামের
শিবনগর থেকে বাহিনীর সদর কার্যালয়ে আসেন। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাহিনীর সদর
দপ্তরে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি গণ্ডাছড়ার রতননগর এলাকার করিনা বি.ও.পি-তে যান। ২৫
এপ্রিল সেখান থেকে সে পুনঃরায় বাহিনীর সদর দপ্তরে আসে। ২৬ এপ্রিল তাকে ধলাই জেলা
হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পেট ব্যথা জনিত কারনে। ১ মে পর্যন্ত সে ধলাই জেলা
হাসপাতালে ছিল। সেইদিন রাতেই তাকে ধলাই জেলা হাঁসপাতাল থেকে জিবি হাসপাতালে
স্থানান্তর করা হয়। জিবি হাসপাতালের ফ্লু- ক্লিনিকে তাকে রাখা হয়।
অন্যদিকে অপর করোনা আক্রান্ত বি.এস.এফ কনস্টেবল এটেন্ডার হিসাবে ছিল। তাকেও
জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার দুই জনেরই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট
পজেটিভ আসে। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে জিবি হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট সেন্টারে।
বি.এস.এফ ১৩৮ নং বাহিনীর সদর দপ্তরের ৬৮ জনকে চিহ্নিত করে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান শনিবার পর্যন্ত
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১১১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪১৬ জন। নমুনা
সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৭৮ জনের । নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৫ জনের।
এখনো পর্যন্ত ৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে দুই জন সুস্থ হয়ে
হাঁসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। একজন বহিঃরাজ্যে চিকিৎসাধীন। অপর দুইজন বর্তমানে জিবি
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এইদিকে উদয়পুরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিন জনের নমুনা সংগ্রহ করা
হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে থাকা ৭৬ জনকে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। এই তিন জনের নমুনা
পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে বাইখোরার দুই জনের
নমুনা এখনো পর্যন্ত এসে পৌছায় নি। তাদের সংস্পর্শে আশা ১৪ জনকেও চিহ্নিত করা
হয়েছে। শনিবার চোরাইবাড়ি দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে ৩৮২ জন। তার মধ্যে হটস্পট থেকে
এসেছেন ১১ জন। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১১৮
জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩৮২ জনের মধ্যে ২৯৩ জন পণ্যবাহী গাড়ি চালক ও সহ
চালক। ৪৫ জন চিকিৎসা জনিত কারনে বহিঃরাজ্যে আটকে ছিল। ৪৩ জন বহিঃরাজ্যে ছিলেন।
এইদিকে উত্তর ত্রিপুরার ৭ টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ৭৪ জনের মধ্যে ২৩ জনকে
শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি রয়েছে ৫১ জন।
৩৪ টি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও ইনচার্জদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক
অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা অধিকর্তা, শিক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অন লাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব
দেওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই অন লাইন ক্লাসে কত জন
অংশনিচ্ছে তা প্রতিদিন রিপোর্ট করার জন্য। ১৪ টি কলেজ প্রতিদিন রিপোর্ট করতো। বাকি
কলেজ গুলিকেও প্রতিদিন রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্নাতক স্তরে অন লাইন
ক্লাসের মাধ্যমে ৯০ থেকে ৭০ শতাংশ উপস্থিতির হার রয়েছে। পাস কোর্সে উপস্থিতির হার
৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। সোমবার থেকে পুরোদমে কোর্স চালু করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা
হয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ