
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ লকডাউনে যাতে জিরানিয়াবাসীকে বিদ্যুৎ সমস্যায় নাজেহাল না হতে হয়, তার
পরিপ্রেক্ষিতে জিরানিয়া মহাকুমার বিদ্যুৎ
পরিষেবার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রবিবার জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বৈঠক করেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা
বিদ্যুৎ মন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী,
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক সহ স্থানীয়
জনপ্রতিনিধিরা। বিদ্যুৎ পরিষেবার
ক্ষেত্রে জিরানিয়া মহকুমায় কি কি সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে অবগত হন তিনি।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন গঠনের
বিষয়টি এদিন বৈঠকে স্থান পায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে একাধিক উদ্যোগের
বিষয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।
সময়ের দাবি
মেনে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই লকডাউন পরবর্তী সময়ে নির্দেশিকা মেনে উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে। মূলত গ্রামীণ অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে যে সমস্ত কাজ অত্যন্ত
জরুরী সেই কাজগুলি নির্দেশিকা মেনে চলছে ধারাবাহিক ভাবে চলছে। তার মধ্যে অন্যতম
রেগার কাজ। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান করে শ্রমিকেরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় কাজ শুরু করেছেন।

সে বিষয়
খতিয়ে দেখতে রবিবার জিরানিয়া মহাকুমার বিনাপানি গ্রাম পঞ্চায়েতে জান
উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন। এলাকার বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে
বীণাপাণি গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় চলার
কাজ ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন রেগা শ্রমিকদের সঙ্গে। কোভিড ১৯ পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়ে যায়নি। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয়
সরকার প্রদেয় নির্দেশিকা মেনে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ
করা হয়েছে বলে জানান উপমুখ্যমন্ত্রী। ধীরে ধীরে নির্দেশিকা মেনে গ্রামীণ এলাকায়
কাজ শুরু হয়েছে।
রাজ্যের
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলি উৎপাদন শুরু করেছে। কিভাবে শৃঙ্খলভাবে
রেগার কাজ করা যায় এটা নতুন অভিজ্ঞতা। মানুষের কাছে টাকা পয়সা পৌঁছে দেওয়া এখন
অত্যন্ত জরুরি বিষয়। তার অন্যতম একটা বিষয় এম জি এন রেগা। রেগার জন্য পর্যাপ্ত
অর্থ রয়েছে। রেগা শ্রমিকদের বর্তমানে কোনো বকেয়া মজুরি নেই। তারপরও যা প্রয়োজন
সব ধরনের সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। এদিন রেগার কাজ ঘুরে দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ
করেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন।

0 মন্তব্যসমূহ