
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ আয়লার থেকেও মারাত্মক সাইক্লোন আমফান, এ ভাষাতেই সুপার সাইক্লোনের ভয়াবহতা বর্ণনা করেছে
রাষ্ট্রসংঘ। একটি সংবাদ প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে,
২০০৯ সালে পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ বাংলাদেশে যে আঘাত
এনেছিল সাইক্লোন আয়লা, তার থেকেও
ঘূর্ণিঝড় আমফানের বীভৎসতা মারাত্মক।
ঠিক কী বলেছে রাষ্ট্রসংঘ?
ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডব প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, “ভারতে
রাষ্ট্রসংঘের কান্ট্রি টিম জানিয়েছে যে আমফানের জেরে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়
ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাইক্লোন আয়লার থেকে বেশি ভয়ঙ্কর সাইক্লোন আমফান”।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে
বাংলার বুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা। আয়লার তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল
সুন্দরবন এলাকা। ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১১২ কিমি। আয়লার থেকেও প্রবল গতি নিয়ে
বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছে আমফান। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,
ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিমি বেগে ধেয়ে যায় আমফান। ঝড়ের
সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি। কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ঘণ্টায় ১৩৩ কিমি।
আমফানের তাণ্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড কলকাতা-সহ বাংলার একাংশ। কলকাতা-সহ রাজ্য়ের
বিভিন্ন প্রান্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা
ব্য়াপকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় বিধ্বংস্ত এলাকা পরিদর্শন
করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য় বাংলাকে
হাজার কোটির অর্থ সাহায্য়ের কথা ঘোষণা করেছেন মোদী। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ২
লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন
নমো। মৃতদের পরিজনদের আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

0 মন্তব্য