
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামি জুন মাস থেকে রাজ্যের কলেজ গুলিতে পুরো দমে শুরু
হবে ক্লাস। জুলাই মাসে হবে চূড়ান্ত পরীক্ষা। এম.বি.বি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু নতুন
কোর্স চালুর পরিকল্পনা। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংবাদ জানান
শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
শুক্রবার মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রীর কক্ষে রাজ্যের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য, কন্ট্রোলার এবং
শিক্ষা সচিব ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রীর পৌরহিত্যে
এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে করোনার জেরে লক ডাউনের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কলেজ
গুলিতে পড়াশুনা ব্যাহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আগামিতে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা
যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। রাজ্যের কলেজ গুলি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিনে থাকলেও
তার এক্তিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলির অধিন। বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে এইদিন আলোচনা হয়।
ইউ.জি.সি গাইড লাইন এবং MHRD-র এডভাইজারি নোট মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব ঠিক ঠাক থাকলে রাজ্যের কলেজ
গুলিতে আগামি জুন মাস থেকে পুরো দমে ক্লাস শুরু হবে। এরপর জুলাই মাসে ডিগ্রি কলেজ
গুলিতে ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টারের। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দ্বিতীয়,
চতুর্থ, ষষ্ঠ এবং অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে জুলাই মাসে। অনুরুপ ভাবে ডিপ্লোমা
কোর্সের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ
সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে। মে মাসে অনলাইন যে ক্লাস চলছে তা আরও গুরুত্ব সহকারে
করার বিষয়ে শনিবার রাজ্যের কলেজ গুলির অধ্যক্ষ এবং ইনচার্জদের সঙ্গে বৈঠকে স্থির
হবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

শুক্রবার মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রীর কক্ষে রাজ্যের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য, কন্ট্রোলার এবং
শিক্ষা সচিব ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রীর পৌরহিত্যে
এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে করোনার জেরে লক ডাউনের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কলেজ
গুলিতে পড়াশুনা ব্যাহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আগামিতে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা
যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। রাজ্যের কলেজ গুলি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিনে থাকলেও
তার এক্তিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলির অধিন। বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে এইদিন আলোচনা হয়।
ইউ.জি.সি গাইড লাইন এবং MHRD-র এডভাইজারি নোট মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব ঠিক ঠাক থাকলে রাজ্যের কলেজ
গুলিতে আগামি জুন মাস থেকে পুরো দমে ক্লাস শুরু হবে। এরপর জুলাই মাসে ডিগ্রি কলেজ
গুলিতে ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টারের। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দ্বিতীয়,
চতুর্থ, ষষ্ঠ এবং অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে জুলাই মাসে। অনুরুপ ভাবে ডিপ্লোমা
কোর্সের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ
সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে। মে মাসে অনলাইন যে ক্লাস চলছে তা আরও গুরুত্ব সহকারে
করার বিষয়ে শনিবার রাজ্যের কলেজ গুলির অধ্যক্ষ এবং ইনচার্জদের সঙ্গে বৈঠকে স্থির
হবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
নবম শ্রেণীর সমস্ত পরীক্ষা হয়ে গেছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজও শেষ। নম্বর
একত্রীকরণের কাজ চলছে। অন্যদিকে একাদশ শ্রেণীর কয়েকটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে। বাকি
পরীক্ষা গুলি সম্পন্ন। তার উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও নাম্বার সংগ্রহ করা হচ্ছে। একাদশ
শ্রেণীর বাকি পরীক্ষা গুলি আর নেওয়া হবে না। সি.বি.এস.সি গাইড লাইন মেনে বাকি
পরীক্ষা গুলির ষাণ্মাসিকের ফলাফল চূড়ান্ত পরীক্ষায় বিবেচ্য হবে। স্কুল খোলার আগে
নবম ও একাদশ শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। যারা উত্তীর্ণ হবে তারাই পরবর্তী
ক্লাসে পড়ার সুযোগ পাবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
বর্তমানে রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১১৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে
রয়েছে ৩৬২ জন। এখনো পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ
করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৬৫ জনের। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ৮২৮ জনের। ৩ জনের
নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল। তার মধ্যে দুইজন সুস্থ হয়ে হাঁসপাতাল থেকে
ছাড়া পেয়ে গেছে। অপরজন বহিঃরাজ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুক্রবার চোরাইবাড়ি দিয়ে ৪০১
জন রাজ্যে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে গাড়ির চালক ও সহচালক রয়েছে ২৮৭ জন। চিকিৎসা
জনিত কারনে বহিঃরাজ্যে আটকে পড়েছিল এমন রয়েছে ২৫ জন। এছাড়াও ৮৯ জন রাজ্যের
বাসিন্দা বহিঃরাজ্য থেকে রাজ্যে এসেছে। যারা বহিঃরাজ্য থেকে এসেছে তাদের মধ্যে
হটস্পট এলাকা থেকে এসেছে ১১ জন। তাদের মধ্যে ৬ জন গাড়ির চালক। বাকিরা রাজ্যের
নাগরিক। তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষা করা
হবে। উত্তর জেলায় মোট ৭ টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে। এই সেন্টার
গুলিতে ৬৩৬ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ আরও জানান রাজ্যে যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে সেই
কন্ট্রোল রুম ২৭ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা ছিল। কন্ট্রোল রুমে
লোক ছিল। ২৯ এপ্রিল থেকে বর্তমানে সকাল ৯
টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকে। কন্ট্রোল রুমে আর্থিক
সাহায্যের জন্য ৬ হাজার আবেদন পত্র জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪ হাজার ৩৪৭ জনকে ১ কোটি
৫৭ লক্ষ্য টাকা সাহায্য করা হয়েছে। আরও ১ হাজার আবেদন পত্র বর্তমানে প্রসেসিং-এ
রয়েছে। রাজ্যে আসার জন্য ৪ হাজার ২৭০ জন আবেদন পত্র পাঠিয়েছে। তার মধ্যে কৌটা থেকে
২৩০ জনকে রাজ্যে আসার জন্য পাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আগ্রা থেকে ৪৮ জনকে
রাজ্যে আসছে। বর্তমানে তারা আসামে রয়েছে। এছাড়াও চেন্নাই থেকে ৭৬ জনের একটি টিম
রাজ্যে আসছে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

0 মন্তব্য